মোবাইল ফোন রচনা । Mobile Phone Essay

মোবাইল ফোন রচনা । Mobile Phone Essay । প্রতিবেদন রচনা

মোবাইল ফোন রচনাঃ তিদিন দীর্ঘ সময় ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলির মধ্যে মোবাইল ফোন অন্যতম। মোবাইলের ব্যাবহার এখন শুধুমাত্র যোগাযোগতেই থেমে নেই, শপিং, ব্যাংকিং, অনলাইন পড়াশোনা, বিনোদন সব কিছুতেই মোবাইল ফোনের ব্যাবহার। আমরা যেভাবে ফোনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি তা আমাদের জীবনে কি প্রভাব ফেলছে, ভালো ও খারাপ সবদিক বিশ্লেষণ করে আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়।

Table of Contents

মোবাইল ফোন রচনাঃ

মোবাইল ফোন রচনা । Mobile Phone Essay । প্রতিবেদন রচনা

আজকের আধুনিক সভ্যতা যে উচ্চ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে এর পেছনে আছে বিজ্ঞানের অবদান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে সহজ থেকে সহজতর করে তুলছে। আর আধুনিক বিজ্ঞানেরই অন্যতম অবদান ‘সােনার কাঠি মােবাইল ফোন’ বা মুঠোফোন। মােবাইল ফোন টেলিযােগাযােগ ব্যবস্থাপনায় বিপ্লব এনেছে, আর উন্মােচন করেছে যােগাযােগ মাধ্যমের নবদিগন্ত।

মােবাইল ফোন কী:

মােবাইল ফোন হলাে ছােট আকারের একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। যার মধ্যে শব্দ বা তথ্য গ্রহণ এবং প্রেরণ করার জন্য ইনপুট এবং আউটপুট ইউনিট থাকে। আর থাকে একটি ডিসপ্লে ইউনিট বা পর্দা, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী নিজের ফোনে অপর প্রান্ত থেকে আসা কোনাে ফোন কলের নম্বরসহ নিজের কানেকশন বা সংযােগের প্রকৃতি দেখতে পায়, সেই সাথে সময় ও তারিখেরও নির্ভুল প্রদর্শন হয়ে থাকে। অতি সহজে হাতের মুঠোয় পরিবহন যােগ্য বলে খুব সহজেই মানুষের মনােযােগ আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে মুঠোফোন ।

মােবাইল ফোন সংযােগ:

একটি মােবাইল ফোনের সংযােগ পেতে হলে অনিবার্য কিছু উপাদানকে বৈজ্ঞানিক বিধিসম্মতভাবে সমন্বিত করতে হয়। সর্বাগ্রে প্রয়ােজন একটি মােবাইল হ্যান্ডসেট যার মাধ্যমে আবশ্যক উপাদানগুলােকে যথাযথভাবে ধরে রাখা যায় । সিমকার্ড, পিনকোড ও প্যাক কোড, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি এ তিনটি আবশ্যক উপাদানের কোনাে একটি বাদ থাকলে মােবাইল সংযােগ সম্ভব নয়। সিমকার্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি নেটওয়ার্ক যা দ্বারা ফোনটি নিয়ন্ত্রিত হয়। স্থানে স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নেটওয়ার্ক টাওয়ারগুলাে সিমকার্ডের সাথে শতভাগ যােগাযােগ রক্ষা করে চলে।

মোবাইল ফোন রচনা । Mobile Phone Essay । প্রতিবেদন রচনা

মােবাইল ফোনের বিবর্তন:

স্বয়ংক্রিয় ও তারবিহীন যােগাযােগ ব্যবস্থা হিসেবে মােবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হয়েছিল কি শতকের চল্লিশের দশকে। যদিও এ প্রযুক্তির আবিষ্কার ও কার্যক্ষমতা নিয়ে গবেষণা ও মূল্যায়ন হয়ে আসছিল সুদূর অতী। থেকেই । ড. মার্টিন কুপারকে আধুনিক সেলফোনের জনক বলা হয়। তার হাত ধরেই এ বিচিত্র ও দ্রুত যােগাযােগের মাধ্যমটি বিকাশের পথ খুঁজে পায়। ২০০৫ সালে বিজ্ঞানীরা মােবাইল ফোনে ভিডিও করার পদ্ধতি আবিষ্কার করলে। মােবাইলের প্রযুক্তিগত দিক আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়। বিবর্তনের ধারায় এখন অনেক অসম্ভবকে সম্ভবের নাম মােবাইল ফোন। বর্তমানে সারাবিশ্বের খ্যাতনামা বড় বড় প্রতিষ্ঠান নানা আকৃতির রকমারি কার্য সম্পাদনে সক্ষম বিভিন্ন মােবাইল ফোনসেট বাজারজাত করছে। এদের মধ্যে স্যামসাং, নােকিয়া, অ্যাপল, অপ্পো, হুয়াওয়ে অন্যতম।

মােবাইল ফোনের গুরুত্ব:

বর্তমান সময়ে একে অন্যের সাথে দ্রুত যােগাযােগের সহজ মাধ্যম মােবাইল ফোন। সাম্প্রতিক সময়ে মােবাইল ফোনে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানসহ ভিডিও চিত্র বিনিময় সম্ভব হয়েছে। মােবাইল ফোনের মাধ্যমে এখন চলতি পথে গল্পের ফাঁকেও অতি সহজে জেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে সর্বশেষ সংবাদ। দূরের কাউকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে চিঠি বা Message পাঠানাে সম্ভব হচ্ছে মুঠোফোনের কল্যাণেই। ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, গেমসসহ নানা কাজে এখন মােবাইলের ব্যবহারই জনপ্রিয় । তাই দৈনন্দিন জীবনে মােবাইল ফোনের গুরুত্ব অপরিসীম । এমনকি মােবাইল ফোন এখন বলতে গেলে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট। মাত্র মিনিটের মধ্যেই পাবলিক পরীক্ষার মতাে বড় বড় পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষার্থীরা ঘরে বসে পাচ্ছে শুধু মােবাইলের জাদুর কাঠির সুবাদেই । তাই মােবাইল ফোনের ব্যবহারিক গুরুত্ব যে কোনাে মানুষের কাছেই সর্বাধিক।

মোবাইল ফোন রচনা । Mobile Phone Essay । প্রতিবেদন রচনা

বাংলাদেশে মােবাইল ফোন:

আমাদের দেশ সর্বপ্রথম মােবাইলের জগতে প্রবেশ করে ‘সিটিসেল’ কোম্পানির মাধ্যমে। ১৯৯৩ সালে এ সুবর্ণ সুযােগটি এদেশের মানুষ গ্রহণের সুযােগ পায়। ১৯৯৬ সালে সরকার গ্রামীণ ফোন’, ‘একটেল’ এবং ‘সেবা’ এ তিনটি কোম্পানিকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমােদন দিলে দেশবাসী তথা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়। কোম্পানিগুলাে প্রতিযােগিতার মাধ্যমে সাধ্যমতাে প্রচেষ্টা চালিয়ে তাদের নিজ নিজ গ্রাহক বাড়াতে মনােযােগী হয়। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য মােবাইল হয়ে ওঠে সহজলভ্য। এখন মােবাইল ফোন ব্যবহার কোনাে অসাধারণ ঘটনা নয়, এ যেন নিয়মিত আহার-নিদ্রার মতাে সাধারণ ঘটনা।

মােবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক দিক:

মােবাইল ফোনের হাজারাে ইতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও এর নেতিবাচক দিকটিও বিবেচনা করে এর ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার । মােবাইল ফোন আজকাল সহজলভ্য এবং দ্রুত যােগাযােগে সক্ষম বলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও অতি সহজে সংগঠিত হচ্ছে। মােবাইল ফোনের কল চার্জ কম বলে অপ্রয়ােজনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে অপচয়ও করে কেউ কেউ। ছাত্রজীবনে এর ব্যাপক ব্যবহার থেকে দূরে থাকাই সমীচীন।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

তথ্যপ্রযুক্তির প্রবল উৎকর্ষের যুগে মােবাইল এখন সুলভ সামগ্রী। যােগাযােগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে। এর প্রয়ােজনীয়তাও সমাজে সর্বাধিক। তাই বিজ্ঞানের এ অকৃপণ দানকে মানুষও গ্রহণ করেছে অকৃপণভাবেই।

  • বাংলা প্রতিবেদন রচনা সূচি | বিরচন

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Banglatech.info

মোবাইল ফোন রচনা: Mobile Phone Essay in Bengali

Last updated on May 9th, 2024 at 03:51 pm

মোবাইল ফোন রচনা (Mobile Phone Essay in Bengali) , নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি রয়েছে। আশা করছি আমাদের আজকের এই মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ রচনা আপনাদের পছন্দ হবে। 

মোবাইল ফোন রচনা

আজকের দিনে মোবাইল ছাড়া মানুষের জীবন প্রায় অলকল্পনীয়। আর, মানুষের স্বভাবই হল দূরের জিনিসকে হাতের তালুর মধ্যে বন্দি করা। তাই, এই ক্ষেত্রে, মোবাইল ফোনের বিশ্বব্যাপী চাহিদাকে অস্বীকার করা যায় না। 

বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতির মাধ্যমে মুঠোফোনের যে এই মাত্রাহীন প্রসার ঘটেছে, তার ফলেই, মানুষ পেরেছে দেশ, কাল ও সীমানার গন্ডিকে জয় করতে।

মোবাইল ফোন রচনা – (Mobile Phone Essay in Bangla)

বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে আপনার প্রিয়জনের সাথে অচিরেই আলাপ চালিয়ে যেতে পারছেন, শুধুমাএ একটি হাতে-ধরা যন্ত্রের মাধ্যমে। এমনকি, আপনি যে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন, তাও হয়তো আপনার ওই মুঠোফোনের স্ক্রিন থেকেই।

সুতরাং, এই আর্টিকেলে আপনি মোবাইল ফোন নিয়ে রচনা বিস্তারিত জানবেন।

  • মোবাইল ফোনের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং ব্যবহার 

তবে তার আগে জেনে নিন, মোবাইল ফোন কি।

মোবাইল ফোন কি ?

মুঠোফোন বা মোবাইল ফোন হল একধরণের ছোট বৈদ্যুতিন যন্ত্র (electronic device) ।

এই যন্ত্রের সাহায্যে আপনি কোনোরকম তার (wire) ছাড়াই, নির্দিষ্ট নম্বর ডায়েল করে ফোন করতে বা ধরতে পারবেন। এছাড়াও, এই যন্ত্রগুলিতে নির্ভুল সময় দেখতে পারবেন একটি স্ক্রিন বা ডিসপ্লে উনিটের মাধ্যমে। 

কোনো ফোন ধরতে বা করতে গেলে কলার নম্বর বা সংযোগের ধরণগুলিও আপনি দেখতে পাবেন। মোবাইল ফোনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, এই যন্ত্রগুলি খুব সহজেই বহনযোগ্য এবং ওজনে হালকা।   

বিজ্ঞানের দান- মোবাইল ফোন

এই সময়ে, অত্যাধুনিক স্মার্টফোনের সাহায্যে আপনি অনলাইন শপিং, ব্যবসা, পড়াশুনা করার পাশাপাশি অডিও-ভিডিও কল করতে পারলেও অতীতের মুঠোফোন শুধুমাত্র কথা বলার কাজেই ব্যবহৃত হত।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে, মানুষের দ্রুত জীবন-যাপন এবং পেশার তাগিদে বিজ্ঞানের আশীর্বাদে মুঠোফোন হয়ে উঠেছে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

আর এই তথ্যের প্রমাণস্বরূপ ২০২১ সালের গণনা অনুসারে দেখা যাচ্ছে, করোনা মহামারীর প্রকোপ থাকা সত্ত্বেও সারা বিশ্বে স্মার্টফোন বিক্রির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০.২%।

অর্থাৎ, এখনও পর্যন্ত পৃথিবী জুড়ে ক্রেতারা প্রায় ৩২৮৮ লক্ষ মোবাইল কিনেছেন।

তবে, আজকালকার মোবাইল গুলো গণকযন্ত্রের ছোট সংস্করণ হলেও, প্রথমদিকের মোবাইল ডিভাইসগুলো আদতেই তা ছিল না।

সেগুলো আসলে ছিল অতিকায় বড়। আবিষ্কারের প্রথমদিকে, একটি দূরাভাষ যন্ত্রের ওজন ছিল প্রায় ১ কেজি এবং আকার ছিল প্রায় একটি সুটকেসের তিনভাগের এক ভাগ।    

আসুন, এইবার সংক্ষেপে জেনে মোবাইল ফোনের ইতিহাস – 

মোবাইল ফোনের ইতিহাস – History of mobile in Bangla

১. পৃথিবীতে সর্বপ্রথম দূরাভাষ যন্ত্র হিসেবে ১৮৭৬ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল আবিষ্কার করেন টেলিফোন যন্ত্র। এরপর, ক্রমশ বহু বিবর্তনের মাধ্যমে তার-বিহীন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মুঠোফোনের ধারণার সৃষ্টি হয় বিজ্ঞানী মহলে।

২. টেলিকম্যুনিকেশনের উন্নতির সাথে সাথে, ১৯০৮ সালে তারবিহীন টেলিফোন হিসেবে পেটেন্ট পায় ইউনাইটেড স্টেটসের কেন্টাকি শহর।

৩. ১৯৪০ সালে AT&T নামের মার্কিন টেলিকম্যুনিকেশন সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা সেলস (cells) তৈরী করেন মোবাইল ফোন বেস স্টেশনের জন্যে।

৪. প্রথমদিকের দূরাভাষ যন্ত্রগুলো আসলে two-way রেডিও হিসেবে কাজ করতো এবং সেই যন্ত্রগুলোতে শব্দের প্রেরণ ছিল দুর্বল এবং আওয়াজ মাঝে মাঝেই আসা বন্ধ হয়ে যেত। এই মোবাইলগুলো ব্যবহার করা হতো জরুরি পরিস্থিতিতে।

৫. এই সময়ে, প্রতিটা কলের জন্যে আলাদা আলাদা বেস স্টেশন ব্যবহার না করে, একটি মাত্র শক্তিশালী বেস স্টেশন ব্যবহার করা হতো। তাই, মোবাইল নেটওয়ার্ক একটি সীমিত এলাকার মধ্যেই শুধু আদান-প্রদান করা সম্ভব হতো।

৬. এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন ১৯৭৩ সালে মটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত মার্টিন কুপার ও জন এফ. মিচেলের তত্বাৱধানে আবিষ্কৃত হয় পৃথিবী প্রথম মোবাইল DynaTAC 8000X। 

এই মডেলটি ১৯৮৩ সালে প্রথম জনগণের ব্যবহারের উদ্দেশে বাজারে আনা হয়। তখন এই মডেলটির দাম ছিল প্রায় ৪০০০ মার্কিন ডলার।

প্রযুক্তিগত দিক থেকে, মটোরোলার এই মডেলগুলোর থেকেই জেনারেশন-জিরো টেকনোলজির আবির্ভাব হয়। আর এখনকার বেশিরভাগ ফোনই নির্ভর করে  3G ও 4G টেকনোলজির উপর। আর, কিছুদিন পরেই জনগণের ব্যবহারের জন্যে উপলব্ধ হবে 5G টেকনোলজির ফোন। 

মোবাইল ফোনের প্রকারভেদ

টেলিযোগাযোগ (telecommunication) ব্যবস্থা এবং তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মোবাইল ফোন নানা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেছে। বর্তমানে, মার্কেটে আপনি বেশ কয়েক ধরণের মুঠোফোনে দেখতে পাবেন; সেগুলো হল-

এই ধরণের ফোনগুলো বাজারে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। শুধুমাত্র ফোন দেওয়া-নেওয়া ছাড়াও এই যন্ত্রগুলো নানারকম কাজ করতে সক্ষম। এই স্বয়ংসম্পূর্ণ মুঠোফোন হল একটি ছোট গণকযন্ত্র।

এই উন্নতমানের ফোনগুলোতে থাকে ক্যামেরা, ক্যালকুলেটর, রেডিও, ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, Bluetooth মাধ্যম ও নানারকমের সুবিধা।

ইন্টারনেট মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারেন এই ফোনগুলোতে। বাধ্যতামূলকভাবে, এই মডেলগুলিতে একটি টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে থাকে।

এছাড়াও, আপনি এই ফোন আপনার অফিসার কাজ, যেমন- ডকুমেন্ট তৈরী কিংবা স্প্রেডশীটও তৈরীতে ব্যবহার করতে পারবেন। 

খুব সাধারণ এই ফোনগুলোতে qwerty কীবোর্ড থাকা দেখা যায়। স্মার্টফোনের তুলনায় এই মডেলগুলো আকারে ছোট এবং এগুলোতে ডিসপ্লেও ছোট আকারের থাকে।

এই ফোনগুলোতে থাকে সাধারণ কিছু অপারেশন, যেমন- ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, ক্যামেরা, মেমরি কার্ড স্টোরেজ এবং অন্যান্য।

আপনি খুব সীমিত পরিমাণে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন এই ধরণের মুঠোফোনে। স্মার্টফোনের মতো মাল্টিটাস্কিং না করতে পারলেও, কিছু সাধারণ হিসাব-নিকাশ এই মোবাইলগুলোতে খুব সহজেই করা যায়।

প্রিপেইড ফোন

যারা নিজের ফোনে মাল্টিমিডিয়া বা মাল্টিটাস্কিং (একসাথে অনেকগুলো প্রোগ্রাম চালানো) পছন্দ করেন না, তারা প্রিপেইড ফোনগুলোকে বেশ উপযোগী মনে করেন।

এতে, আপনি শুধু সেলুলার ডাটা ব্যবহার করে ফোন করতে, ধরতে এবং এসএমএস পাঠাতে বা গ্রহণ করতে পারবেন। 

এই ফোন আপনাকে কিছু পরিমান অর্থের বিনিময়ে সীমিত কলের সময় বা সীমিত মেসেজের পরিষেবা দিয়ে থাকে। আর যেখানে প্রিপেইড-এর অর্থই হল অগ্রিম পয়সার বিনিময়ে পরিষেবা প্রদান।

আনলকড ফোন (unlocked)

আনলকড ফোনগুলোর আসল সুবিধা হলো আপনার ফোন কোনো নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডারের অন্তর্ভত নয়। আপনি আপনার পছন্দমতো সার্ভিস প্রোভাইডারের থেকে কলিং এবং এসএমএস প্ল্যান ব্যবহার করতে পারেন।

তবে, বাজারে সহজলভ্য সেল ফোনগুলোর তুলনায় এই আনলকড মডেলগুলো অনেকটাই জটিল এবং দামী। এছাড়া, সঠিক ব্যবহারিক জ্ঞান না থাকলে এই ফোনগুলো ব্যবহার করাও বেশ কঠিন।

চলুন, এবার আলোচনা করা যাক, মোবাইলের কয়েকটা মুঠোফোনের বৈশিষ্ট্য নিয়ে। 

মোবাইলের বৈশিষ্ট্য – Features of mobile in Bengali

১. প্রতিটি দূরাভাষ যন্ত্র ব্যহারকারীদের সহজে ফোন করার বা ধরার সুবিধা প্রদান করে।

২. যেকোনো মোবাইল ফোনে থাকে এক বা একাধিক সিম কার্ড ব্যবহারের ব্যবস্থা। এই সিমকার্ডগুলো আকারে অনেকটা পাতলা, চ্যাপ্টা এবং ছোট ডাক-টিকেটের মতো দেখতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, সিম কার্ড পোর্টগুলো ব্যাটারির নিচে থাকে। নেটওয়ার্ক পরিষেবাদাতাদের সিম কার্ডগুলো একে ওপরের থেকে আলাদা এবং প্রত্যেক কোম্পানির সিমের পরিষেবাও একে অন্যের থেকে আলাদা।সাধারণত, Global System for Mobile Communication (GSM) মডেলগুলোতে কেবল একটা সিম কার্ড রাখার ব্যবস্থা থাকে। 

৩. প্রতিটি মোবাইল চলে rechargeable ব্যাটারীর উপর। অর্থাৎ, ব্যাটারিগুলোকে বিদ্যুতের সাহায্যে চার্জ করলেই আপনি বারবার আপনার ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। দরকারে, ব্যাটারি বদলাতেও পারবেন।

৪. এই প্রতিটি যন্ত্রের একটি করে ইউনিক বা একক International Mobile Equipment Identity (IMEI) নম্বর থাকে। এই নম্বরটির সাহায্যে খুব সহজেই ট্র্যাকার সিস্টেমগুলো আপনার হারিয়ে বা চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল খুঁজে দিতে পারে।

৫. আপনাকে মোবাইল চালাতে হলে, কীবোর্ড বা টাচস্ক্রিনের মাধ্যমে ইনপুট দিতে হবে। ঠিক যেমনভাবে আপনি আপনার কম্পিউটারকে কীবোর্ড বা মাউসের সাহায্যে নিদের্শ দেন ঠিক সেভাবেই আপনাকে আপনার মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়।

৬. প্রতিটি মোবাইল ফোনে আছে একক International Mobile Subscriber Identity (IMSI) নম্বর। এই নম্বরের সাহায্যে আপনার এবং আপনার মোবাইলের লোকেশন খুব সহজেই খুঁজে নেওয়া যায়।

মোবাইল ফোন কেন এতো জনপ্রিয় ?

এখন মানুষের ঘরে ঘরে ফোন বা স্মার্টফোনে রয়েছেই। তাই চোখ বুজে বলা যায়, যেকোনো যুগান্তকারী আবিষ্কারের থেকে মোবাইল আবিষ্কারে বেশি সুবিধা হয়েছে আপামর জনসাধারণের।

তবে, এই মুঠোফোনের জনপ্রিয়তা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর কারণ হিসেবে বেশ কতগুলো স্পষ্ট পয়েন্ট অবশই রয়েছে; সেগুলো হলো –

১. মুঠোফোন আর্থিকভাবে যথেষ্ট সহজলভ্য এবং সব শ্রেণীর মানুষ তাদের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী কিনতে পারেন।

২. মোবাইল ডিভাইস খুব সহজেই মানুষ নিজের সাথে করে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। 

৩. কম খরচে ইন্টারনেট পরিষেবা নিজের মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবহার করা সম্ভব। 

৪. পুরোনো ল্যান্ডলাইন ফোনের বিল দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে, আপনি খুব কম টাকার রিচার্জ করলেই পাচ্ছেন কল ও এসএমএস-এর সুবিধা।

৫. স্মার্টফোনগুলোতে আপনি কোনোরকম টিভি বা রেডিও ছাড়াই খবর, প্রোগ্রাম উপভোগ করতে পারছেন।

৬. বর্তমানের android ফোন থেকে খুব সহজেই আর সুরক্ষার সাথে যেকোনো জায়গাতে টাকা লেন-দেন করতে পারছেন সাধারণ মানুষ।

৭. আপনি গান শুনতে চান? সিনেমা দেখতে চান? ওয়েব সিরিজ দেখতে চান? এইসবই আপনি পাবেন আপনার ওই স্মার্টফোনে।

৮. কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা এপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি দ্রুত কোনো ছবি, ভিডিও আপনার লোকেদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

৯. পুলিশের তদন্তের কাজেও এই নতুন মোবাইল ব্যবস্থা বেশ উপযোগী। দুষ্কৃতীদের লোকেশন বা কল রেকর্ড দেখে অনায়াসেই পুলিশরা তাদের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন। 

আরও এই রকম বহু কারণের জন্যে আজকের যুগে মোবাইলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে।

মোবাইল ফোনের সুবিধা কি কি ?

শুধুমাত্র যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নতিসাধনের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনের জন্ম হলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই মুঠোফোনের ব্যবহারিক দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে বহুমুখী।

ইন্টারনেট পরিষেবার সাথে মোবাইল পরিষেবার মেলবন্ধনে স্মার্টফোনের চাহিদা দিন দিন আকাশছোঁয়া হয়ে পড়ছে। 

মাল্টিমিডিয়ার উপস্থিতির ফলে মানুষ জীবনের প্রায় প্রত্যেকটি কাজে এই অত্যাধুনিক, প্রযুক্তি-নির্ভর মুঠোফোনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। 

অনেকগুলো মিডিয়ার সম্ভার হওয়াও মোবাইল ফোনের বেশ কতগুলো সুবিধা আছে –

১. মাল্টিমিডিয়ার সমাবেশ হওয়ায় সামান্য যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ থেকে শুরু করে অফিসিয়াল ডকুমেন্ট তৈরী করা সবকিছুই করতে সক্ষম এই মুঠোফোন।

২. গান শোনা, রেকর্ড করা, ভিডিও রেকর্ডিং থেকে এডিটিং, এমনকি কিছু কিছু স্মার্টফোনে আপনাকে ডিজানিং কিংবা পেইন্টিং করার সুবিধাও দিয়ে থাকে।

৩. অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে আজকাল অনেক মানুষই মোবাইল ব্যাঙ্কিং-এর উপর নির্ভর করে থাকেন।

৪. পাসপোর্ট থেকে শুরু করে বার্থ সার্টিফিকেট সমস্ত সরকারি নথিও আজকাল মোবাইল থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে ডাউনলোড, আপলোড বা কারেকশন করা যায়।

৫. ঘুরতে গিয়ে আর হারিয়ে যেতে হবে না, কারণ বেশিভাগ মোবাইলেই থাকছে লোকেশন ট্র্যাকিং এবং আরও অন্যান্য সুবিধা।

৬. এই করোনা মহামারীর সময়, স্মার্টফোনের চাহিদা দ্বিগুণ হওয়ার কারণ অনলাইন পড়াশোনা এবং অনলাইন অফিস। তাই আজকাল পড়াশোনা ও অফিস হয়ে উঠেছে মোবাইল নির্ভর। 

৭. আজকাল ট্রেন, প্লেন, বাসের টিকিট, স্কুল, কলেজের এডমিশনও হয়ে পড়ছে মোবাইল নির্ভর। ওলা বা উবেরে গাড়ি বুক করতে হলেও দরকার একটা স্মার্টফোনের।

৮. অনেক ডাক্তাররাও আজকাল ভিডিও কলের মাধ্যমে দিচ্ছেন টেলি-কন্সাল্টেশন। অর্থাৎ, বাড়িতে বসেই একটা মোবাইলের মাধ্যমে আপনি আপনার মেডিকেল চেক-আপ করিয়ে নিতে পারছেন।

বিজ্ঞান যেমন আশীর্বাদ ও অভিশাপ দুই-ই বটে। তেমনই মুঠোফোনেরও আছে ভালো এবং মন্দ দিক।

দেখে নেওয়া যাক, কি কি আছে মোবাইলের অপকারিতা ?

মোবাইলের অপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক

১. স্মার্টফোনের আসক্তি একটি নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই করোনা মহামারী এবং লকডাউনের সময়। অফিস থেকে শুরু করে বিনোদনের মাধ্যম সব কিছুরই মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই মোবাইল ফোন। 

গবেষণাতে দেখ যাচ্ছে, একজন মানুষ প্রায় সারাদিনে ১০ ঘন্টার কাছাকাছি সময় এই মুঠোফোনে ব্যয় করছেন। যার ফলে, তার জীবনের অনেকটা সময় স্ক্রিনের সামনেই অতিবাহিত হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাঘাত ঘটছে।

২. শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে মোবাইলের ব্যবহার এর বিষয়টা বিপদের সংকেত ডেকে আনছে। অনেক সময় ইন্টারনেট মাধ্যমে তারা অ্যাডাল্ট কনটেন্ট বা হিংসাত্মক বিষয়বস্তুর সম্মুখীন হচ্ছে, যা শিশুদের মধ্যে বিকৃত চিন্তাভাবনার জন্ম দিতে পারে।

এর ফলে, তাদের মনের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে।

৩. অনলাইন মাধ্যম হওয়ার ফলে বেশ কিছু অসাধু লোকের অসাধু ব্যবসার রমরমা বাড়ছে। খুবই কুখ্যাত ব্যবসাগুলির মধ্যে একটি হল চাকুরীর স্ক্যাম। যেখানে কিছু ভুয়ো প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে ঠকিয়ে তাদের থেকে টাকা রোজগার করছে।

কিংবা, রয়েছে অনলাইন ATM কার্ডের স্ক্যাম, যেখান থেকে অনেক মানুষ কোটি কোটি টাকা হারিয়েছেন।

৪. এছাড়াও আছে, সাধারণ মানুষের তথ্য নিরাপত্তায় (data security) দ্বন্দ্বের অবকাশ। ইন্টারনেট মাধ্যমে অনেক স্পাই এজেন্সী রয়েছে, যারা সাধারণ মানুষের তথ্য নিয়ে অনেক সময়ই অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করে থাকে। কিংবা আপনার অজান্তেই আপনি আপনার পরিচয় সেই অচেনা এজেন্সীগুলোকে দিয়ে থাকেন, যা একেবারেই কাম্য নয়।

৫. বেশি সময় মোবাইল ব্যবহার করতে থাকায় মানুষের আবেগগুলো শিথিল হয়ে পড়ছে। মানুষ আগের মতো সামনাসামনি আড্ডা দেওয়া, গল্প করা, প্রায় ভুলতে বসছে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি থেকে মানুষ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে এবং সেখান থেকে তৈরী হচ্ছে হতাশা। 

এই মোবাইল আসক্তি অনেক সময় জন্ম দেয় অনিদ্রার মতো রোগের। মানুষের ক্রিয়েটিভ কাজকর্ম যেমন- গান গাওয়া, আঁকা, নাচ করা এইসবের ইচ্ছেও নষ্ট হচ্ছে।

৬. মোবাইল ডিভাইস থেকে যে তেজস্ক্রিয় রশ্মি (রেডিওএক্টিভ রেস) বেরোয়, তা থেকে দেখা দিতে পারে শরীরে ক্যান্সার। এছাড়াও, দেখা যেতে পারে চোখের, ঘাড়ের ও পিঠের সমস্যা। 

  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক 

আমাদের শেষ কথা,,

দ্রুত গতিশীল এই জীবনে, যেখানে ইন্টারনেট সারা বিশ্বকে ভুবন গ্রামে (global village) পরিণত করেছে, সেখানে মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকা হল এক বড় দুঃসাধ্য কাজ।

তাই আমাদের উচিত, রয়ে-সয়ে এই প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো ব্যবহার করা এবং খারাপ দিকগুলোকে বাদ দেওয়া, যাতে আমার সম্পূর্ণভাবে নিজেদের উন্নতিসাধন করতে পারি।

আশা করি, মোবাইল ফোন রচনা (Mobile Phone Essay in Bengali) , নিয়ে লিখা আমাদের আজকের আর্টিকেল বা আলোচনাটি আপনাদের ভালো লেগেছে।

যদি আজকের মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ রচনা আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।

এবং আমরা অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতের। 

About The Author

Avatar

HUAWEI কোন দেশের কোম্পানি এবং এই কোম্পানীর মালিক কে

মোবাইল ওয়ালপেপার ডাউনলোড

মোবাইল ওয়ালপেপার ডাউনলোড করার সাইট গুলো । HD wallpaper

lg কোন দেশের কোম্পানি

LG কোন দেশের কোম্পানি, মালিক এবং সিইও কে ?

Leave a comment cancel reply.

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Free BTC Earn 100% Legit

Earn BTC Online

মোবাইল ফোন রচনা

Photo of Rimon

Table of Contents

রচনাঃ মোবাইল ফোন অথবা, মুঠোফোন অথবা, যোগাযোগ উন্নয়নে মোবাইল ফোন অথবা, মোবাইল ফোনঃ এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। mobile phone rochona, rachona, pdf, for class 6, 7, 8, 9, 10, 11 JSC SSC PSC HSC

বিজ্ঞান দূরকে করেছে নিকট এবং পরকে করেছে আপন। বর্তমান বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে মােবাইল ফোন। কম্পিউটার   ও ইন্টারনেটের সমন্বিত মিনি সংস্করণ এ তারবিহীন মুঠোফোন। যতই দিন যাচ্ছে নিত্যনতুন সেবা নিয়ে হাজির হচ্ছে বিজ্ঞানের এ বিস্ময়কর আবিষ্কার। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে মােবাইল ফোন ছাড়া যেন একমুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। অতি দ্রুত পৃথিবীর যেকোনাে স্থানে যােগাযােগ করা এবং সহজ পরিবহন যােগ্যতার কারণে সমগ্র বিশ্বে মােবাইল ফোন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মোবাইল ফোন যেমন দূরুত্বকে জয় করেছে তেমনি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সৃষ্টি করেছে নবযুগের।

মােবাইল ফোনের আদিকথা

মাত্র দুই যুগ আগেও মােবাইল ফোন শুধু  সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই ছিল না, বলা যায় এটা ছিল তাদের ধারণারও অতীত। অথচ আজ বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনগােষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবন মােবাইল ফোন ছাড়া প্রায় অচল। মােবাইল ফোনের প্রথম ব্যবহার শুরু হয় ১৯২৬ সালে জার্মানির বার্লিন-হামবুর্গ চলাচলকারী প্রথম শ্রেণির ট্রেনে। ১৯৫০ সালের গােড়ার দিকে জার্মানির রাইন নদীতে বিনােদনের। জন্য চলাচল করা নৌযানের সাধারণ যাত্রীদের জন্য ব্যবহারােপযােগী। মােবাইল ফোন প্রথম চালু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মােবাইল ফোন আবিষ্কার করে সুইডেনের ফোন কোম্পানি এরিকসন। ১৯৫৬ সালে তৈরিকৃত এ মােবাইল ফোনের নাম ছিল মােবাইল সেল। ফোন সিস্টেম-এ’ (এমটিএ) যার ওজন ছিল ৪০ কেজি। ওজনের কারণে এটি সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযােগ্যতা ও জনপ্রিয়তা পায়নি। তাছাড়া সেটির আকার, সীমিত সেবা এবং উচ্চমূল্যও গ্রহণযােগ্যতা না পাওয়ার একটি কারণ। তারপর ১৯৬০-এর শুরুতে মােবাইল ফোন প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। বর্তমানে আমরা যে মােবাইল ফোন ব্যবহার করি তার প্রকৌশলগত বিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত। অবশেষে ১৯৭৩ সালে Motorola-এর ড. মার্টিন ‘কুপার (১৯২৮) কর্তৃক প্রথম হাতে বহনযােগ্য মােবাইল ফোন প্রদর্শিত হয়, যার ওজন ছিল প্রায় দুই কেজি। ১৯৮৩ সালে Dyna TAC 8O00X মডেলের মােবাইল ফোন প্রথম বাজারজাত করা হয়। তারপর থেকে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে।

বাংলাদেশে মোবাইল ফোন

বর্তমান বিশ্বে চার প্রযুক্তির মোবাইল সেট প্রচলিত। তম্মধ্যে  বাংলাদেশে ‘সিডিএমএ’ ও ‘জিএসএম’ নামক দুই প্রযুক্তির মোবাইল চালু রয়েছে। আমাদের দেশে একুশ শতকের শুরুতেই মােবাইল ফোনের জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। এর আগে বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এর ব্যবহার শুরু হলেও তা ছিল খুবই সীমিত পরিসরে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মােবাইল ফোনের গঠনপ্রণালিও ক্রমশ উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। মাত্র ১০/১২ বছরের ব্যবধানে এর আকৃতিতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বর্তমানে ছােট আকারের বিভিন্ন ধরনের মােবাইল সেট সহজলভ্য। এসব সেটে প্রযুক্তিগত সুবিধাও অনেক। এসব সেটের মাধ্যমে কথা বলা ছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার, গান শােনা, ছবি তােলা, ভিডিও করা, কথা রেকর্ড করাসহ প্রয়ােজনীয় অনেক কাজ করা যায়। মােবাইলের গঠনপ্রণালির এক একটি ধারাকে বলা হয় ‘জেনারেশন’। এভাবে তিনটি ধারা পার করে দিয়ে বর্তমানে পঞ্চম ‘জেনারেশন’-এর মােবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা ও টেলিভিশন দেখারও সুযােগ রয়েছে। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। মোট জনসংখ্যার  বিরাট অংশ এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে গত এক বছরে যুক্ত হয়েছেন ৮০ লাখ নতুন গ্রাহক।

বাংলাদেশে মােবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান

১৯৯২ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশে মােবাইল ফোন চালু হলেও মানুষের নাগালে পৌছাতে ২০০০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।  বর্তমানে আমাদের দেশে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এক্সিয়াটা, এয়ারটেল ও টেলিটক— এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান মােবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। এসবের মধ্যে একমাত্র টেলিটক সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। কল রেট নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিযােগিতা চলে বলে সাধারণ গ্রাহকরা তাদের পছন্দের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়ার সুযােগ পায়। সেট বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলাে- স্যামসাং, সিম্ফনি, নোকিয়া , অত্রো, লাভা, মটোরােলা, সনি এরিকসন এবং বিভিন্ন চায়না প্রতিষ্ঠান।

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে মোবাইল ফোন

মোবাইল ফোন সমগ্র পৃথিবীকে হাতের মুঠোর মধ্যে বন্ধি করেছে। মোবাইল ফোনের সাহায্যে মানুষ দূরদূরান্তে অবস্থানকারী আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মুহূর্তে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে। মোবাইল ফোন সুবিধা হলো এটি সবসময় সঙ্গে করে বয়ে নেওয়া যায়। বিপদে আপদে প্রিয়জনদের খোঁজখবর নেওয়া যায়। মোবাইল ফোন আবিষ্কারের পূর্বে বিদেশে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনদের খবর জানা সময়সাপেক্ষ , কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল ব্যাপার ছিল। এখন মুহূর্তের মধ্যে যেকোনো সময় আপনজনদের সাথে  কথা বলে তাদের সার্বিক অবস্থান সম্পর্কে অবহিত যায়। মোবাইলে শুধু কথাই না এসএমএস এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সংবাদ মুহূর্তেই পৌঁছে দিতে পারে।

মােবাইল ফোনের সুফল

মােবাইল ফোন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি লােক প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে নানা সুবিধা ভােগ করছে। জীবনে গতি আনতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে মােবাইল ফোন। নিচে মােবাইল ফোনের নানা সুফল তুলে ধরা হলাে

(ক) যােগাযােগের মাধ্যম : মােবাইল ফোন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করছে যােগাযােগের মাধ্যম হিসেবে। মােবাইল ফোনের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনাে প্রান্তের যেকোনাে ব্যক্তির সাথে সরাসরি যােগাযােগ করা যায়। পৃথিবীর সকল মানুষকে মােবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এনে বিশ্বগ্রাম (Global Village) গড়ে তােলার প্রক্রিয়া চলছে। পৃথিবীর সকল মানুষের মধ্যে মােবাইল ফোন পরােক্ষভাবে ভ্রাতৃত্ববােধ সৃষ্টি করে চলেছে।

(খ) ইন্টারনেট সেবা : যেকোনাে স্থান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনা জানার জন্য মােবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। মােবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের যেকোনাে ঘটনা ও তথ্য প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও জানা সম্ভব। মােবাইলে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকায় মানুষ গতিশীল ও আধুনিক হয়ে উঠেছে।

(গ) তথ্য আদান-প্রদান : মােবাইলের মেসেজ অপশন থেকে সহজেই বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। এতে বিশেষ কিছু কথা মুখে না বলে মােবাইলের মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ করে অন্যকে জানানাে সম্ভব হয়।

( ঘ) ব্যাংকিং আদান-প্রদান : আগে মানুষকে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাস বিল দেওয়ার জন্য ব্যাংকে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতাে। এ সমস্যা সমাধানের সহজ পথ বের করে দিয়েছে মােবাইল ফোন। এখন দেশের যেকোনাে প্রান্ত থেকে মােবাইল ফোনের মাধ্যমে এসব বিল পরিশােধ করা সম্য হচ্ছে, যা মানুষের সময় ও অর্থকে সাশ্রয় করছে।

(ঙ) কর্মসংস্থান সৃষ্টি : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মােবাইল ফোন কোম্পানিগুলােতে বহু লােকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। যেমন বাংলাদেশে ছয়টি মােবাইল ফোন কোম্পানিতে প্রায় পাঁচ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তাছাড়া আরও কয়েক লাখ লােক পরােক্ষভাবে ব্যবসা  করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।

(চ) হিসাব-নিকাশ : মােবাইল ফোনে ক্যালকুলেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে যেকোনাে প্রয়ােজনীয় মুহূর্তে ছােটখাটো হিসাবনিকাশ মােবাইল ফোনের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে।

( ছ) ভিডিও ও ক্যামেরা : মােবাইল ফোনের আধুনিক মডেলগুলােতে ভিডিও এবং ক্যামেরা আছে। ফলে দূরে কোথাও বেড়াতে গেলে এখন আর আগের মতাে ক্যামেরা নিতে হয় না। ক্যামেরা থেকে শুরু করে ভিডিও রেকর্ডিং পর্যন্ত মােবাইল ফোনের মাধ্যমে করা যায়।

(জ) বিনােদন : কর্মময় জীবনের একঘেয়েমি দূর করে অবসর বিনােদনের জন্য মােবাইল ফোনে বিশেষ ব্যবস্থা আছে। এখন মেমােরি কার্ডে অডিও ও ভিডিও গান সংরক্ষণ করে রাখা যায়। ফলে অবসরে মনে আনন্দ দিতে মােবাইল ফোন বন্ধুর মতাে কাজ করে।

মােবাইল ফোনের কুফল

ভালাে-মন্দ নিয়েই পৃথিবীর সকল কিছুর সৃষ্টি। প্রতিটি যন্ত্রের মাঝে তার ভালাে দিক যেমন আছে, তেমনি খারাপ দিকও আছে। মােবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির যেমন কিছু সুফল রয়েছে তেমনি নিম্নোক্ত কুফলও বহন করছে।

(ক) আর্থিক অপচয় : মােবাইল ফোনের মাধ্যমে মানুষ যেমন সচ্ছল হচ্ছে, তেমনি কিছু মানুষ দারিদ্রের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। মানুষ ধার-দেনা করে মােবাইল ফোন কিনছে, আবার অনেকে বিশেষ করে যুবসমাজ অকারণে মােবাইলে টাকা অপচয় করছে।

(খ) অপরাধ বিস্তার : মােবাইল ফোন এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে সামনে না এসেও সরাসরি কথা বলা যায়। ফলে সন্ত্রাসীরা সহজেই নিজেদের মধ্যে যােগাযােগ রক্ষা করতে পারে। তাছাড়া মােবাইল ফোনের সহায়তায় সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইল প্রভৃতি অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

(গ) রােগব্যাধি বিস্তার : প্রতিটি ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে কিছু রােগব্যাধির বিস্তার ঘটে। বুক পকেটে বা মাথার নিচে মােবাইল রাখলে এর ক্ষুদ্র তরঙ্গ মানুষের বুকে ও মস্তিষ্কে নানারকম রােগের জন্ম হয়। তা ছাড়া স্ক্রিনের আলাে চোখের ক্ষতি সাধন করে।

(ঘ) লেখাপড়ার ক্ষতি : বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানি লাভবান হাওয়ার জন্য লোভনীয় অফার দিচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধা ভোগ করতে গিয়ে বা রাত জেগে কথা বলে লেখাপড়ার ক্ষতি সাধন করছে।

(ঙ) যুবসমাজের অবক্ষয় : মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যুবশ্রেণী অশ্লীল ভিডিও দেখে তাদের মূল্যবোদের অবক্ষয়   সাধন করছে। বর্তমানে যুবসমাজ মোবাইল ফোনের ভালোর দিকের চেয়ে খারাপ দিকই বেশি গ্রহণ করছে।

মোবাইল ফোন প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ

বাংলাদেশে গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি, টেলিটক ও এয়ারটেল এই পাঁচটি মোবাইল ফোন কোম্পানির নেটোওয়ার্ক রয়েছে। এসব কোম্পানি নিরলসভাবে সেবা দিয়ে আসছে। বিগত কয়েক বছর ধরে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো পূর্বের তুলনায় তাদের কলরেট কমিয়ে আনলেও এতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকার। সরকার দফায় দফায় মোবাইল ফোনে কল ও ইন্টারনেটের খরচ প্রতি বাজেটে বাড়িয়ে আসছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

মোবাইল ফোন সভ্যতার চেহারাকে পাল্টে দিয়েছে। মোবাইল ফোন মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে। মোবাইল ফোন আধুনিক প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ এক অবদান। বর্তমানে মোবাইল ফোন ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত চিন্তা করতে পারি না। প্রযুক্তি ব্যবহারে   আমাদের সর্বোচ্চ সচেতন থাকা উচিত। প্রযুক্তির অবদান মোবাইল ফোনকে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে।  মোটকথা, প্রযুক্তির যথাযত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের জীবন ও জগৎ আরও বেশি সহজ ও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।

 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

Photo of Rimon

One Comment

anok kharap

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।

Related Articles

রচনাঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রচনাঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মে দিবসের তাৎপর্য রচনা (The significance of May Day)

মে দিবসের তাৎপর্য রচনা (The significance of May Day)

mobile phone essay in bengali

আন্তর্জাতিক মে দিবস রচনা | International May Day

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ | রচনা.

Logo

Mobile Phone Essay

মোবাইল ফোন আজকের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমাদের দিনও মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু হয় এবং শেষও হয়। প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুরাও এতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এখনকার বাবা-মায়েরাও তাদের ঝামেলা এড়াতে ছোট বাচ্চাদের হাতে ফোন ধরা, এগুলো বাচ্চাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। যা মোটেও ঠিক নয়।

Table of Contents

মোবাইল ফোনে বাংলায় সংক্ষিপ্ত ও দীর্ঘ প্রবন্ধ

Essay-1 (300 essay): প্রথম ফোনের আবিষ্কার.

মোবাইল ফোনকে প্রায়ই “সেলুলার ফোন” বলা হয়। এটি একটি ডিভাইস যা মূলত ভয়েস কলের জন্য ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নতি আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। আজ, একটি মোবাইল ফোনের সাহায্যে, আমরা বিশ্বের যে কারো সাথে সহজেই কথা বলতে পারি বা ভিডিও চ্যাট করতে পারি।

1973 সালের আগে, মোবাইল টেলিফোনি গাড়ি এবং অন্যান্য যানবাহনে ইনস্টল করা ফোনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। মটোরোলা হ্যান্ডহেল্ড মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রথম কোম্পানি। 3 এপ্রিল, 1973-এ, মার্টিন কুপার , একজন গবেষক এবং মটোরোলার নির্বাহী, হ্যান্ডহেল্ড গ্রাহক ডিভাইস থেকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী, বেল ল্যাবসের ডাঃ জোয়েলস এঙ্গেলকে প্রথম মোবাইল টেলিফোন কল করেছিলেন।

ডঃ কুপারের ব্যবহৃত প্রোটোটাইপ হ্যান্ডহেল্ড ফোনটির ওজন ছিল 1.1 কেজি এবং পরিমাপ 23x13x4.5 সেমি (9.1×5.1×1.8 ইঞ্চি)। প্রোটোটাইপটি মাত্র 30 মিনিটের টকটাইম অফার করে এবং রিচার্জ করতে 10 ঘন্টা সময় নেয়।

জন এফ. মিচেল, মটোরোলার ফ্ল্যাগশিপ পোর্টেবল কমিউনিকেশন পণ্য, এবং কুপারের বস মোবাইল টেলিফোন ডিভাইসের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছিলেন। যেহেতু মিচেল মটোরোলার কাছে তারবিহীন যোগাযোগ পণ্য বিকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু তার দূরদর্শী চিন্তাধারা আজকের আধুনিক ফোনের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

নতুন প্রযুক্তি তরঙ্গ বা প্রজন্মের একটি সিরিজে উন্নত এবং রোল আউট করা হয়েছে। “প্রজন্ম” শব্দটি শুধুমাত্র 3G চালু হওয়ার সময় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এখন পূর্ববর্তী সিস্টেমের উল্লেখ করার সময় পূর্ববর্তীভাবে ব্যবহৃত হয়।

আজ মোবাইল ফোন বিভিন্ন আকার এবং আকারে পাওয়া যায়, বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং অনেক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। যেমন- ভয়েস কলিং, ভিডিও চ্যাটিং, টেক্সট মেসেজিং, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেইল, ভিডিও গেমস এবং ফটোগ্রাফি ইত্যাদি। তাই একে ‘স্মার্ট ফোন’ বলা হয়।

রচনা – 2 (400 শব্দ): মোবাইল ফোনের সুবিধা

আজকাল মানুষের সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফোনের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। এমনকি ব্যস্ততম ব্যক্তিও ফোন ব্যবহার করার জন্য সময় নেয়। আজকাল হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এমন একটা বাজে অভ্যাস করে ফেলেছে যে প্রতি দুই মিনিটে সবাই হোয়াটসঅ্যাপ চেক করতে থাকে। আপনি যদি মুক্ত হন তবে এটি আপনার সেরা সময় কাটানোর একটি উপায় হয়ে উঠবে।

মোবাইল ফোনের সুবিধা

1) আমাদের সংযুক্ত রাখে

এখন আমরা একাধিক অ্যাপের মাধ্যমে আমাদের বন্ধু, আত্মীয়দের সাথে যেকোনো সময় সংযোগ করতে পারি। এখন আমরা যে কারো সাথে ভিডিও চ্যাট করতে পারি, শুধুমাত্র আমাদের মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে। এছাড়াও মোবাইল আমাদের সারা বিশ্বের সম্পর্কে আপডেট রাখে।

2) অনলাইন যোগাযোগ সুবিধা

আজ মোবাইল ফোন দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মের জন্য আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। আজ, কেউ মোবাইল ফোনে ট্র্যাফিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে পারে এবং সময়মতো পৌঁছানোর জন্য উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর সাথে আবহাওয়ার তথ্য, ক্যাব বুকিং এবং আরও অনেক কিছু।

3) যে কোন সময়, যে কোন জায়গায় সকলের জন্য বিনোদন।

মোবাইল প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে পুরো বিনোদন জগৎ এখন একটি ডিভাইসের অধীনে। যখনই আমরা নিয়মিত কাজ থেকে বিরতি নিতে চাই, আমরা গান শুনতে পারি, সিনেমা দেখতে পারি, আমাদের প্রিয় শো দেখতে পারি বা এমনকি আমাদের প্রিয় গানের ভিডিও দেখতে পারি।

4) অফিসের কাজ পরিচালনা করা

আজকাল মোবাইল ফোন বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত হয়। মিটিং শিডিউল করা থেকে, নথি পাঠানো এবং গ্রহণ করা, উপস্থাপনা, অ্যালার্ম, চাকরির আবেদন ইত্যাদি। মোবাইল ফোন প্রতিটি কর্মজীবী ​​মানুষের জন্য একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

5) মোবাইল ব্যাংকিং

আজকাল পেমেন্ট করার জন্য মানিব্যাগ হিসেবেও মোবাইল ব্যবহার করা হয়। একটি স্মার্টফোনে মোবাইল ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বন্ধু, আত্মীয় বা অন্যদের কাছে অর্থ স্থানান্তর করা যেতে পারে। তাছাড়া, কেউ সহজেই তার অ্যাকাউন্টের বিশদ দেখতে এবং অতীতের লেনদেনগুলি জানতে পারে। এটি অনেক সময় বাঁচায় এবং এটিকে ঝামেলামুক্ত করে তোলে।

মোবাইল ফোনের অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি আধুনিকতার সবচেয়ে বড় প্রতীক হয়ে উঠেছে। আজ যদি কারো কাছে মোবাইল ফোন না থাকে, তাহলে আমরা খুব অবাক হয়ে দেখি। তারা বলে না, খুব বেশি সবকিছুই খারাপ। এটি মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যদি এটি যত্ন সহকারে এবং বিচক্ষণতার সাথে ব্যবহার করা হয় তবে এটি প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হবে।

রচনা – 3 (500 শব্দ): মোবাইল ফোনের অসুবিধা

মোবাইল ফোন আমাদের জন্য অনেক কিছু করে, প্রথমে তারা আমাদের ডেটা সঞ্চয় করার অনুমতি দেয়। ছবি, পাঠ্য এবং অডিও মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এটি আমাদের ফাইলগুলিকে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম করে। এটা নিশ্চিত করে যে আমরা সবসময় কাজ বা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নথির সাথে থাকি।

মোবাইল ফোনের অসুবিধা

1) সময় নষ্ট করা

আজকাল মানুষ মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি যখন আমাদের মোবাইলের প্রয়োজন হয় না তখনও আমরা নেট সার্ফ করি, গেম খেলি যা একটি আসল আসক্তি। মোবাইল ফোন যেমন স্মার্ট হয়েছে, মানুষও তেমনি হয়েছে।

2) আমাদের অ-যোগাযোগমূলক করে তোলে

মোবাইল ফোনের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে দেখা-সাক্ষাৎ কম বেশি কথা হয়েছে। এখন লোকেরা শারীরিকভাবে মিলিত হওয়ার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি চ্যাট বা মন্তব্য করে।

3) গোপনীয়তা হারানো

উচ্চ মোবাইল ব্যবহারের কারণে নিজের গোপনীয়তা হারানো একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। আজকে কেউ সহজেই আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি ব্রাউজ করে আপনার সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পেতে পারে। যেমন আপনি কোথায় থাকেন, আপনার বন্ধু এবং পরিবার, আপনার ব্যবসা কি, আপনার বাড়ি কোথায় ইত্যাদি।

4) অর্থের অপচয়

মোবাইলের উপযোগিতা যেমন বেড়েছে, তেমনি তাদের খরচও বেড়েছে। আজ মানুষ একটি স্মার্টফোন কেনার জন্য একটি বিশাল পরিমাণ খরচ করছে, যা শিক্ষা বা আমাদের জীবনের অন্যান্য দরকারী জিনিসগুলিতে ব্যয় করা যেতে পারে।

5) দুর্ঘটনার সম্ভাবনা

আজকাল আমরা দেখেছি যে রাস্তায় হাঁটার সময়ও লোকেরা ফোনে প্রবেশ করতে থাকে, যা কখনও কখনও ভয়াবহ দুর্ঘটনার রূপ নেয়। কিছু লোক হাঁটার সময় সেলফিতে ক্লিক করে, অন্যরা কলে থাকে, কিছু লোক টেক্সট করতে থাকে। ক্রমাগত প্রচার এবং বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণার পরে লোকেরা টেক্সট করা এবং গাড়ি চালানোর প্রভাব বুঝতে পেরেছে। এখন, টেক্সটিং এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে নতুন প্রোগ্রামের প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে।

6) সাইবার অপরাধের হুমকি

বর্তমানে সাইবার ক্রাইমের আশঙ্কা অনেক বেড়ে গেছে। আজকাল আমরা আমাদের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের ফোনে রাখি। ফোনটি সাইবার ক্রাইমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ না হলে, আপনার সমস্ত তথ্য এক জায়গায় রাখা সুবিধাজনক হতে পারে। কিন্তু যখন চুরি হয়, তারা আমাদেরকে সব ধরনের সাইবার অপরাধের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।

7) নোমোফোবিয়া

নোমোফোবিয়া হল আপনার মোবাইল ফোন ছাড়া থাকার অযৌক্তিক ভয় বা কোনো কারণে আপনার ফোন ব্যবহার করতে না পারা, যেমন সিগন্যালের অনুপস্থিতি বা ব্যাটারি ডিসচার্জ হওয়া। মোবাইল ফোনের সাথে যোগাযোগের বাইরে থাকার ভয়ে এর নাম দেওয়া হয়েছে। যদিও শব্দটি ‘নোমোফোবিয়া’, অনেকে যুক্তি দেন যে ‘ফোবিয়া’ সবচেয়ে উপযুক্ত নাও হতে পারে; আর এটাকে উদ্বেগজনিত ব্যাধি বলাই বেশি উপযুক্ত হতে পারে।

একটি মোবাইল ফোন ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় হতে পারে। ব্যবহারকারী কিভাবে এটি ব্যবহার করে তার উপর নির্ভর করে। যেহেতু মোবাইল আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আপনার উন্নত জীবনের জন্য এটিকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার না করে, এটি সাবধানে ব্যবহার করা উচিত এবং এটি জীবনকে উপযোগী করে তুলতে হবে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী: মোবাইল ফোনে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

উত্তর – 1995 সালে

উত্তর- ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার 1970 সালে।

উত্তর- মোদি টেলস্ট্রা।

উত্তর- বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনটি IBM সাইমন তৈরি করেন।

Leave a Reply Cancel reply

You must be logged in to post a comment.

  • ফ্রিল্যান্সিং
  • সরকারি চাকরি
  • BCS Preparation
  • English Paragraphs
  • Govt Job Preparation
  • Bangla Health Tips

mobile phone essay in bengali

Paragraph on Uses and Abuses of Mobile Phone

Paragraph Name : Uses and Abuses of Mobile Phone

We live in the age of science and technology. Mobile phone is one of the wonderful inventions of modern science and technology. Mobile phone is a scientific device by which we can communicate with others. This communication system is operated without any wire. Now cannot imagine a day without mobile phone. The users of mobile phone are increasing day by day. Nowadays, especially the students are very prone to absorb the demerits of mobile phone. They sometimes keep chatting and wasting their time with their friends when they are supposed to be at desk to study. Though people are getting benefits, mobile phone sometimes becomes the cause of health hazards. It causes-brain tumours, genetic damage and many other incurable diseases. But it is a matter of great regret that most people are not aware of disadvantages of mobile phone. The blood pressure becomes high and red blood cells get damaged if a person is continuously exposed to radiation caused by cellular phone. Using cellular phone is also harmful for the pregnant women. So, the government should raise awareness publicly on using mobile phone by children and pregnant women. If mobile phone is used in a controlled way, it will do more benefit to us.

English Word Meaning in Bangla: wonderful- বিস্ময়কর, invention- আবিষ্কার, device- যন্ত্র, operate- নিয়ন্ত্রীত হওয়া, wire- তার, hazard- ঝুঁকি, incurable- দুরারোগ্য, invisible- অদৃশ্য, radioactivity- তেজস্ক্রিয়তা, irreparable- অপূরণীয়, regret- অনুতাপ, expose- প্রভাবাধীন হওয়া, ban- নিষেধাজ্ঞা।

Paragraph on Celebration of Pahela Baishakh

Paragraph on my future plan of life, paragraph on the importance of female education, paragraph on my favourite tv programme, paragraph on climate change/the impact of climate change, paragraph on importance of learning english, paragraph on uses and abuses of internet, paragraph on our cultural heritage, paragraph on the victory day, paragraph on a winter morning.

  • আমাদের সম্পর্কে
  • গোপনীয়তা ও নীতিমালা
  • কমেন্ট পলিসি

বাংলা রচনা

ইন্টারনেট রচনা [Internet Essay in Bengali with PDF]

মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে থাকা ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অন্যতম অংশ। ইন্টারনেটের জালে আমরা এমন ভাবে জড়িয়ে গিয়েছি যার থেকে বেরিয়ে আসা একেবারেই অসম্ভব। অনেক কঠিন কাজকে সহজ করে দিয়েছে ইন্টারনেট। মানবজীবনে নিয়ে এসেছে আমূল পরিবর্তন।

দৈনন্দিন জীবনে বিপুল ব্যবহৃত ইন্টারনেট আমাদের পক্ষে কতটা সুরক্ষিত? এর আবিষ্কারক কে? আগামী দিনে ইন্টারনেটের ভবিষ্যত কি? এ সব কিছুর বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় ইন্টারনেট রচনা ।

ইন্টারনেট রচনা

সূচি তালিকা

আধুনিক সভ্যতা ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার সমগ্র সমাজব্যস্থায় এনেছে আমূল পরিবর্তন। পৃথিবীর সাধারণ নিয়ম গেছে বদলে। আমাদের আধুনিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের প্রভাব আজ অতিমাত্রায় স্পষ্ট।

গণমাধ্যমও প্রযুক্তি বিজ্ঞানের এই বৈপ্লবিক পরিবর্তনের বাইরে নেই।গণমাধ্যমে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের জয়যাত্রা শুরু সম্ভবত ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে বেতার আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে। তারপর কালের নিয়মে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের উন্নতিতে আমরা পেয়েছি টেলিভিশন ও পরবর্তীতে ইন্টারনেটের মতো সর্বাধুনিক গণমাধ্যম।

মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে থাকা ইন্টারনেটের রহস্যময় যোগসূত্র পৃথিবীকে আজ এনে দিয়েছে হাতের মুঠোয়। এইভাবে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অবদানে বিশ্ব প্রথমে বাক্স এবং পরে মুঠোর মধ্যে বন্দি হয়েছে।

জীবনে ইন্টারনেট :

 বর্তমানে ব্যাপকভাবে বহুমুখী কাজে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে। চিকিৎসা, প্রতিরক্ষা, সরকারি ও বেসরকারি নানাবিধ কাজকর্ম, হিসেব-নিকেশ, প্রশাসন পরিচালনা, জটিল গবেষণা প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রকে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। তাছাড়া পৃথিবী জুড়ে সমস্ত ধরনের যোগাযোগ ব্যাবস্থার এক অন্যতম যুগান্তকারী মাধ্যম ইন্টারনেট।

এই ইন্টারনেট ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে প্রচলিত চিরাচরিত যোগাযোগ ব্যবস্থার রীতি গিয়েছে ভেঙে, গড়ে উঠেছে নতুন নিয়ম, যা আমরা প্রবন্ধের পরবর্তী পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে ইন্টারনেট পরিষেবা ছাড়া বর্তমান আধুনিক সভ্যতা একপ্রকার অচল।

ইন্টারনেট কী:

ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক (আন্তর্জাতিক জাল) শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ইন্টারনেট। এই ইন্টারনেট বলতে বোঝায় এমন এক নেটওয়ার্ক, যা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মোবাইল, কম্পিউটার, সুপার কম্পিউটারের মত বিভিন্ন ডিজিটাল তথা অ্যানালগ মাধ্যমের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে তথ্যের আদান প্রদানে সহায়তা করে।

বিশ্বব্যাপী মাকড়সার জালের মতো বিস্তারিত মোবাইল, কম্পিউটার সংযোগের জন্য আমরা চোখের পলকে তথ্যের আদান প্রদান করতে পারি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।  ইন্টারনেটে ঠিকানার পারিভাষিক নাম ওয়েব অ্যাড্রেস। এই ঠিকানা লিখে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করলে চোখের সামনে যা দৃশ্যমান হয় পরিভাষায় তার নাম ওয়েব সাইট। সাধারণভাবে এই হল ইন্টারনেট ব্যবস্থার মুখ্য রূপ।

ইন্টারনেটের ইতিহাস:

১৯৬২ খ্রিস্টাবে গ্যালকটিক নেটওয়ার্ক কনসেপ্টের ধারণা অধ্যাপক জে. সি. আর লিকলাইডের মাথায় প্রথম আসে। এর মোটামুটি দশ বছর পর এই ধারণা বাস্তবায়িত হয়। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বে ইন্টারনেটের সূচনা ঘটে। সাধারণের অজান্তে সকলের চোখের অগোচরেই পদার্পণ করে এক নতুন যুগ। 

জনসাধারনের মধ্যে ইন্টারনেটের প্রসার ঘটতে প্রথমে সময় লাগে বছর আটেক। এই সময় ইরাকের বিরুদ্ধে উপসাগরীয় যুদ্ধ চলছিল। সেই যুদ্ধের খবর ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়ে জনসাধারণের মধ্যে এক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এর পর ইন্টারনেটের প্রসার ঘটতে আর একটুও সময় লাগেনি।

১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে ইন্টারনেটকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এইখান থেকেই শুরু হয়ে যায় পৃথিবীর ইতিহাসে ইন্টারনেটের জয়যাত্রা। এর কয়েক মাসের মধ্যেই হাজার হাজার নতুন সদস্য ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়। প্রথমদিকে শুধুমাত্র পেশাগত ক্ষেত্রে এর ব্যবহার হলেও, কিছুদিন পর থেকেই ইন্টারনেট আস্তে আস্তে ঢুকে যায় গৃহস্থের অন্তঃপুরে। এভাবেই সারা পৃথিবীকে এই আন্তর্জাল ব্যবস্থা বর্তমানে সত্যিই মাকড়সার জালের মতো জড়িয়ে ফেলেছে।

ইন্টারনেটের ব্যবহার:

ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে যতই বলা হোক না কেন, তা এর বাস্তবের ব্যবহারিক রুপের তুলনায় অতি সামান্যই বলা হবে। জনসাধারণের মধ্যে আবির্ভাবের শুরুতে প্রথম প্রথম বিশেষত তথ্যের আদান-প্রদান করার জন্য ইন্টারনেটের ব্যাবহার হত। তারপর দিন যত এগিয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের বহুমুখিতা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে।

আজ পৃথিবীতে ইন্টারনেটের ব্যবহার এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে একে মানুষের বেঁচে থাকার এক অন্যতম প্রয়োজন হিসেবে গণ্য করার সময় হয়েছে বলে অনেক সমাজ বিশেষজ্ঞ মনে করেন। তাদের মতে, ইন্টারনেট হলো আমাদের আধুনিক সময়ের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এক প্রযুক্তি যা ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল কাজই অসম্পূর্ণ। আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে শিক্ষা, ব্যাবসা, যোগাযোগ, ব্যাঙ্কিং, চিকিৎসা সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের একান্ত প্রয়োজনীয়তা আজ বিদ্যমান।

একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবস্থা মাত্র এক মিনিটের জন্য বন্ধ হলে পৃথিবীকে যে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তা কল্পনাতীত। ইন্টারনেটের সেই গভীর জটিল ব্যবহারিক প্রয়োগের মধ্যে না ঢুকে, প্রতিদিনের জীবনে এর কিছু সাধারণ ব্যাবহার সংক্ষেপে আলোচনার চেষ্টা করা হলো।

  • শিক্ষা ক্ষেত্রে: শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার বর্তমানে সর্বজনবিদিত। ইন্টারনেটের চরিত্র বিশ্লেষণ করলেই এর কারণ সহজে অনুধাবন করা যায়। ইন্টারনেট হল তথ্যের এক সুবিশাল ভান্ডার। সেই তথ্যভান্ডার থেকে যেকোনো প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক তথ্য খুব সহজেই পাওয়া যায়।তাই এই মাধ্যম পৃথিবীর যেকোন মানুষের কাছে মহাজ্ঞানী এক শিক্ষক রূপে নিমেষেই শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পারে। এছাড়া প্রথাগত শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের ফলে ফর্ম পূরণ, ফল প্রকাশ, নোটিশ প্রদান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।
  • অনলাইন এডুকেশন: শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সর্বাধুনিক অবদান হল অনলাইন এডুকেশন সিস্টেম। ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের সাহায্যে ঘরে বসেই সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা লাভ আজ সম্ভবপর হচ্ছে। তাছাড়া অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা পৃথিবীতে বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ প্রতিকূল সময়েও শিক্ষাকে মানুষের কাছে অতি সহজে পৌঁছে দিতে সাহায্য করছে।
  • তথ্য আদানপ্রদানে : বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট তথ্যের আদান-প্রদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তথ্যের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিল এর এর জন্মলগ্নেই। প্রথমে প্রতিরক্ষা এবং পরে সর্বসাধারণের জন্য তথ্যের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ সমস্ত চিরাচরিত রীতি কে ভেঙে এক সরল এবং অত্যন্ত সুবিধাজনক ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটিয়েছে। ই-মেইল বা ইলেকট্রনিক মেইল হল তারই সামান্য এক নমুনা।  ই-মেইলের মাধ্যমে এক মুহূর্তে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে নূন্যতম খরচে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভবপর হয়েছে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া : তথ্যের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সর্বাধুনিক অবদান হল সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়া ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে তথ্যের আদান-প্রদান তথা যোগাযোগব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের সঙ্গে চ্যাটিং ভিডিও কল ভিডিও কনফারেন্সিং ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
  • বিনোদনে : বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। মানুষ আজ প্রতিদিনকার বিনোদনে ইন্টারনেটকেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে থাকে।  বিনোদনের সমস্ত উপাদানই ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে উপভোগ করা সম্ভব। যেমন – রেডিও, টেলিভশন, বিভিন্ন ভিডিও গেম, ম্যাগাজিন ইত্যাদি। তাছাড়া বিনোদনে ইন্টারনেটের ব্যবহারের ক্ষেত্রে OTT প্ল্যাটফর্মের কথা আজ সর্বজনবিদিত। ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, হটস্টার, অ্যামাজন প্রাইম এর মত অসংখ্য OTT প্ল্যাটফর্ম আজ স্বল্প খরচে মানুষের হাতের মুঠোয় বিশ্বমানের বিনোদনকে এনে হাজির করেছে। এই ব্যবস্থাকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে অগণিত মানুষের জীবন ও জীবিকা। তাছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন সুপ্ত প্রতিভা এই মাধ্যমের ব্যবহারে নিজেদের প্রতিভাকে প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে।
  • ব্যাবসা বানিজ্যে : ইন্টারনেট ব্যাবসা বাণিজ্যকে দিয়েছে এক নতুন দিশা। ব্যাবসা এখন অনলাইনে। প্রয়োজনের সব কিছু বেচা কেনা থেকে হোটেল বুকিং,গাড়ি বুকিং, খাওয়ার অর্ডার বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেট বহুল ব্যবহৃত।
  • ই-শপিং : ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে ই-শপিং এর ধারণা প্রসার লাভ করেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই এই ব্যবস্থায় লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণীকে বাদ দিয়ে তুলনামূলকভাবে স্বল্প দামে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া পুরনো জিনিস বেচাকেনা, অনলাইন রিক্রুটমেন্ট এর ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট এক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। সর্বোপরি শুধুমাত্র এই ইন্টারনেটকে ভিত্তি করেই বর্তমান যুগে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাবসা ও বানিজ্য, যা আবারও অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা অর্জনে সহায়তা করছে প্রতিনিয়ত।

ইন্টারনেটের ব্যবহারকে শুধুমাত্র এই ক’টি গণ্ডির মধ্যে বেঁধে ফেললেই তা সমাপ্ত হয় না। এই মাধ্যমের ব্যবহার এবং ব্যপ্তি বহুমুখী। এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে দৃষ্টির অগোচরে থেকে ইন্টারনেট প্রতিদিন বিশ্ব পরিচালনায় এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যায়।

ইন্টারনেটের অপব্যাবহার:

সবকিছুর মতো ইন্টারনেটেরও ভালো এবং খারাপ উভয় দিকই রয়েছে। দিন দিন ক্রমাগত ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর অপব্যাবহার। এই প্রযুক্তির জন্ম মানব কল্যাণের উদ্দেশ্যে হলেও এর অপব্যবহার কে সম্পূর্ণ রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনলাইন বিনোদনের প্রতি অত্যন্ত আসক্তি শিশুদের শৈশবকে আজ বহুমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাছাড়া ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শিশুদের নিরাপত্তাকেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে। 

যৌন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু। বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুরি হচ্ছে ব্যাক্তিগত তথ্য। ভুল খবর ছড়িয়ে পড়েছে মুহূর্তেই। এছাড়াও একাউন্ট হ্যাক করে অর্থ-সম্পদ চুরি করে নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। সেই কারণে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ের পর্যালোচনার জন্য পৃথিবীর প্রতিটি দেশ গড়ে তুলেছে তাদের নিজস্ব সাইবার সেল।

এই সাইবার সেলগুলি প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে নিরাপত্তার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করবার চেষ্টা করে চলেছে। তাছাড়া ইন্টারনেট কে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা যেমন এথিক্যাল হ্যাকিং, আইটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি ইন্টারনেট সুরক্ষার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করবার চেষ্টা করে থাকে।

বহুবিধ ও অপব্যবহার সত্বেও ইন্টারনেটের মতো বহুমুখী সম্ভাবনাময় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে অস্বীকার করে দূরে সরিয়ে রাখার অর্থ মূর্খের স্বর্গে বাস করা। গোটা দুনিয়া এখন মাকড়সার জালের মতোই ইন্টারনেটের জালে বাঁধা।

এর থেকে মুক্তি পাওয়া রবিনসন ক্রুসোর মতো সমাজ সংসার থেকে বঞ্চিত দুর্ভাগ্যের বলি হওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে যাতে এর খারাপ দিকগুলিকে যথাসম্ভব দূরে সরিয়ে রেখে আমরা ইন্টারনেটকে মানব সভ্যতার কল্যানে ব্যবহার করে বহু দূর অগ্রসর হতে পারি।

ইন্টারনেট প্রবন্ধ রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো আপনার ব্যাক্তিগত মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান।আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার।

এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম কমেন্ট করে জানান।দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব রচনা কম্পিউটার রচনা মোবাইল ফোন রচনা

উল্লেখ: WikiPedia

Print Friendly, PDF & Email

সম্পর্কিত পোস্ট

  • মোবাইল ফোন রচনা [Mobile Phone Essay in Bengali] [PDF]
  • মানব কল্যাণে বিজ্ঞান প্রবন্ধ রচনা [সঙ্গে PDF]
  • দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা | Doinondin Jibone Biggan Rochona [PDF]
  • কম্পিউটার রচনা (Computer Essay in Bengali) [PDF]
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা [সঙ্গে PDF]
  • প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব রচনা [সঙ্গে PDF]

“ইন্টারনেট রচনা [Internet Essay in Bengali with PDF]”-এ 1-টি মন্তব্য

রচনাটি বেশ ভালো।

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

পরবর্তিতে ব্যবহারের জন্য আপনার নাম, ইমেইল ঠিকানা এবং ওয়েব ঠিকানা এই ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুন।

mobile phone essay in bengali

Net Explanations

  • Book Solutions
  • State Boards

Bengali Rachana

Bengali rachana | বাংলা রচনা | class 7, 8, 9, 10, 11, 12.

Bengali Rachana | বাংলা রচনা | Class 7, 8, 9, 10, 11, 12

Bengali Rachana or Bengali essay or বাংলা রচনা is a significant part of Bengali language at school levels and in higher level studies. We all know the fact that essay writing is an important part for enhancing the writing skill in any language, so, writing Bengali essays is equally important to grow the knowledge in Bengali and overall writing skills. Students learn Bengali Rachana at the initial level of primary section. Then after that students have to upgrade their writing quality with advance classes to improve their knowledge and writing. Students of all education boards including CBSE, ICSE have to learn Bengali Rachana who choose Bengali as a language in their academic learning. Though students of west Bengal board who study Bengali as their first language and continue their entire education in Bengali medium learn Bengali Rachana from the initial level. In the present article we will explain about the importance of Bengalirachona for the overall learning of students. We will also describe the needs of studying rachona based on different sections which are important from exam perspective and personal knowledge. Students will score better is if they follow the rules and techniques of rachona entirely. They can include their own style and language in rachona for producing an enriched version of language. We have provided the lists of all sections for Bengali Rachana which are helpful for students of class 6 to class 12 from all boards.

Bigyan sangkrato rachona:

In the modern world, almost everything is technology based that we see around us. In the first paced lifestyle we have to depend on science and technology for each aspects starting from education to production and delivery. Science and technology is such a blessing to us which bring innovative discoveries constantly over time. With the advancement our living becomes so smooth and comfortable through the advantages. We have provided the list of all Bengali Rachana related to science and technology that we have experienced and about to experience in future. Students of all classes from 6-12 will find out rachona for their classes specifically where they will get deep information about scientific knowledge and application in our daily life.

  • প্রতিদিনের জীবনে বিজ্ঞান
  • বিজ্ঞানের ভালো মন্দ
  • বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ

Rachona about Bengal:

It is important to know all about Bengal when a student learn deeply about Bengali language. Through learning Bengalirachona students can know all about Bengal which are important part of their syllabus of Bengalirachona too. In the section we have provided all rachona related to Bengal and its people like seasons of Bengal, festivals of Bengal, famous sports of Bengal, Bengali culture, history etc. which are significant for learning.

  • বাংলার দ্রষ্টব্য স্থান
  • দেশ ভ্রমনের উপকারিতা
  • গ্রামের সন্ধ্যা
  • পর্বতের শোভা
  • পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
  • মানব জীবনে পরিবেশের গুরুত্ব
  • একটি গাছ একটি প্রান
  • বাংলার ফুল ও ফল
  • পশ্চিমবঙ্গের কৃষক
  • আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ
  • স্বদেশ প্রেম
  • পশ্চিমবাংলার পাখি
  • এক জাতি এক প্রাণ একতা
  • ভারতের জাতীয় পতাকা
  • শহর ও গ্রাম
  • জাতীয় ফুল পদ্ম
  • গ্রামের হাট
  • একটি হকারের আত্মকথা
  • একটি পাখির আত্মকথা
  • একটি ভাঙা বাড়ির আত্মকথা
  • একটি নদীর আত্মকথা
  • একটি বটগাছের আত্মকথা
  • বাংলার উৎসব
  • শিক্ষক দিবস
  • একটি রথের মেলার বর্ণনা
  • বাংলার নববর্ষ
  • বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস
  • বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
  • জাতীয় ফল – আম
  • বসন্তের দূত কোকিল
  • কলকাতা মহানগরী
  • মানবাধিকার একটি নতুন আন্দোলন
  • আমার প্রিয় শখ
  • একটি দুঃখের ঘটনা
  • একটি ছুটির দিন
  • আমার জীবনের লক্ষ্য
  • আমার দেখা সার্কাস
  • বিদ্যালয়ে তোমার প্রথম দিন

Samprotik ghatonaboli:

Samprotikghatonaboli or current affairs is an important part of our daily living and learning.  We all must know about what is happening around us daily to be undated over time. Some current affairs have even direct and indirect effects on the living of people. So, we must be aware of it and grasp the knowledge from Bengali Rachana about it. Students will find rachona about any current affairs like international meeting, international defence exercise, inflation, pandemic disease, war, cooperation with neighbour countries, and any national news which are worth knowing and mentioning in academics. All students of class 6-12 will find these Bengali Rachana collection helpful sources for upgrading their knowledge.

Monishider jiboni:

We can always learn something great by reading the biographies or autobiographies of famous persons, poets, freedom fighters, philosophers. We can understand their views and opinions about life which inspire us to focus more on ourselves and our aims. Their stories about life struggles and achievements are great sources of motivation to us. For that we have included biographies of great persons as Bengali Rachana which are required for all classes of students from 6-12.

  • করুনাময় যীশুখ্রীষ্ট
  • হজরত মহম্মদ
  • হাজি মহম্মদ মহসীন
  • রাজা রামমোহন রায়
  • ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
  • পরম পুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ
  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
  • মাতা সারদামনি
  • আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • স্বামী বিবেকানন্দ
  • চিত্তরঞ্জন দাস
  • ঋষি অরবিন্দ ঘোষ
  • ভগিনী নিবেদিতা
  • মহাত্মা গান্ধী
  • কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
  • মাস্টারদা সূর্যসেন
  • বিপ্লবী ক্ষুদিরাম
  • নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
  • কাজী নজরুল ইসলাম
  • মাদার টেরিজা
  • সত্যজিৎ রায়
  • কবি সুকান্ত

Also see: West Bengal Board Solution

Conclusion:

We have provided the individual lists for all classes which they will find easily category wise. From the list they will find the rachona according to their requirements which we have arranged sequentially. We are hopeful that students will be greatly benefitted by the Bengali Rachana resources and score well in their upcoming exams. Besides that it will also help their knowledge growth and self-development in rachona writing.

  • For which classes Bengali Rachana has been provided here?

Answer. Students from class 6-12 will find Bengali Rachana of all important categories of their syllabus here in this article.

  • What is Bengali Rachana?

Answer. Bengali Rachana means Bengali essay which students have to write in sectional parts for explain any given topic in a perfectly understandable way.

Sign in to your account

Username or Email Address

Remember Me

  • Terms and Conditions

No products in the cart.

  • Electronics

মোবাইল ফোন রচনা: Mobile Phone Essay in Bengali

mobile phone essay in bengali

মোবাইল ফোন রচনা (Mobile Phone Essay in Bengali) , নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি রয়েছে। আশা করছি আমাদের আজকের এই  মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ রচনা  আপনাদের পছন্দ হবে।

আজকের দিনে মোবাইল ছাড়া মানুষের জীবন প্রায় অলকল্পনীয়। আর, মানুষের স্বভাবই হল দূরের জিনিসকে হাতের তালুর মধ্যে বন্দি করা। তাই, এই ক্ষেত্রে, মোবাইল ফোনের বিশ্বব্যাপী চাহিদাকে অস্বীকার করা যায় না।

বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতির মাধ্যমে মুঠোফোনের যে এই মাত্রাহীন প্রসার ঘটেছে, তার ফলেই, মানুষ পেরেছে দেশ, কাল ও সীমানার গন্ডিকে জয় করতে।

মোবাইল ফোন রচনা – (Mobile Phone Essay in Bangla)

বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে আপনার প্রিয়জনের সাথে অচিরেই আলাপ চালিয়ে যেতে পারছেন, শুধুমাএ একটি হাতে-ধরা যন্ত্রের মাধ্যমে। এমনকি, আপনি যে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন, তাও হয়তো আপনার ওই মুঠোফোনের স্ক্রিন থেকেই।

সুতরাং, এই আর্টিকেলে আপনি মোবাইল ফোন নিয়ে রচনা বিস্তারিত জানবেন।

তবে তার আগে জেনে নিন, মোবাইল ফোন কি।

মোবাইল ফোন কি ?

মুঠোফোন বা মোবাইল ফোন হল একধরণের ছোট  বৈদ্যুতিন যন্ত্র (electronic device) ।

এই যন্ত্রের সাহায্যে আপনি কোনোরকম তার (wire) ছাড়াই, নির্দিষ্ট নম্বর ডায়েল করে ফোন করতে বা ধরতে পারবেন। এছাড়াও, এই যন্ত্রগুলিতে নির্ভুল সময় দেখতে পারবেন একটি স্ক্রিন বা ডিসপ্লে উনিটের মাধ্যমে।

কোনো ফোন ধরতে বা করতে গেলে কলার নম্বর বা সংযোগের ধরণগুলিও আপনি দেখতে পাবেন। মোবাইল ফোনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, এই যন্ত্রগুলি খুব সহজেই বহনযোগ্য এবং ওজনে হালকা।

বিজ্ঞানের দান- মোবাইল ফোন

এই সময়ে, অত্যাধুনিক স্মার্টফোনের সাহায্যে আপনি অনলাইন শপিং, ব্যবসা, পড়াশুনা করার পাশাপাশি অডিও-ভিডিও কল করতে পারলেও অতীতের মুঠোফোন শুধুমাত্র কথা বলার কাজেই ব্যবহৃত হত।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে, মানুষের দ্রুত জীবন-যাপন এবং পেশার তাগিদে বিজ্ঞানের আশীর্বাদে মুঠোফোন হয়ে উঠেছে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

আর এই তথ্যের প্রমাণস্বরূপ ২০২১ সালের গণনা অনুসারে দেখা যাচ্ছে, করোনা মহামারীর প্রকোপ থাকা সত্ত্বেও সারা বিশ্বে স্মার্টফোন বিক্রির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০.২%।

অর্থাৎ, এখনও পর্যন্ত পৃথিবী জুড়ে ক্রেতারা প্রায় ৩২৮৮ লক্ষ মোবাইল কিনেছেন।

তবে, আজকালকার মোবাইল গুলো গণকযন্ত্রের ছোট সংস্করণ হলেও, প্রথমদিকের মোবাইল ডিভাইসগুলো আদতেই তা ছিল না।

সেগুলো আসলে ছিল অতিকায় বড়। আবিষ্কারের প্রথমদিকে, একটি দূরাভাষ যন্ত্রের ওজন ছিল প্রায় ১ কেজি এবং আকার ছিল প্রায় একটি সুটকেসের তিনভাগের এক ভাগ।

আসুন, এইবার সংক্ষেপে জেনে মোবাইল ফোনের ইতিহাস –

মোবাইল ফোনের ইতিহাস – History of mobile in Bangla

১.  পৃথিবীতে সর্বপ্রথম দূরাভাষ যন্ত্র হিসেবে ১৮৭৬ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল আবিষ্কার করেন টেলিফোন যন্ত্র। এরপর, ক্রমশ বহু বিবর্তনের মাধ্যমে তার-বিহীন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মুঠোফোনের ধারণার সৃষ্টি হয় বিজ্ঞানী মহলে।

২.  টেলিকম্যুনিকেশনের উন্নতির সাথে সাথে, ১৯০৮ সালে তারবিহীন টেলিফোন হিসেবে পেটেন্ট পায় ইউনাইটেড স্টেটসের কেন্টাকি শহর।

৩.  ১৯৪০ সালে AT&T নামের মার্কিন টেলিকম্যুনিকেশন সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা সেলস (cells) তৈরী করেন মোবাইল ফোন বেস স্টেশনের জন্যে।

৪.  প্রথমদিকের দূরাভাষ যন্ত্রগুলো আসলে two-way রেডিও হিসেবে কাজ করতো এবং সেই যন্ত্রগুলোতে শব্দের প্রেরণ ছিল দুর্বল এবং আওয়াজ মাঝে মাঝেই আসা বন্ধ হয়ে যেত। এই মোবাইলগুলো ব্যবহার করা হতো জরুরি পরিস্থিতিতে।

৫.  এই সময়ে, প্রতিটা কলের জন্যে আলাদা আলাদা বেস স্টেশন ব্যবহার না করে, একটি মাত্র শক্তিশালী বেস স্টেশন ব্যবহার করা হতো। তাই, মোবাইল নেটওয়ার্ক একটি সীমিত এলাকার মধ্যেই শুধু আদান-প্রদান করা সম্ভব হতো।

৬.  এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন ১৯৭৩ সালে মটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত মার্টিন কুপার ও জন এফ. মিচেলের তত্বাৱধানে আবিষ্কৃত হয় পৃথিবী প্রথম মোবাইল DynaTAC 8000X।

এই মডেলটি ১৯৮৩ সালে প্রথম জনগণের ব্যবহারের উদ্দেশে বাজারে আনা হয়। তখন এই মডেলটির দাম ছিল প্রায় ৪০০০ মার্কিন ডলার।

প্রযুক্তিগত দিক থেকে, মটোরোলার এই মডেলগুলোর থেকেই জেনারেশন-জিরো টেকনোলজির আবির্ভাব হয়। আর এখনকার বেশিরভাগ ফোনই নির্ভর করে  3G ও 4G টেকনোলজির উপর। আর, কিছুদিন পরেই জনগণের ব্যবহারের জন্যে উপলব্ধ হবে 5G টেকনোলজির ফোন।

মোবাইল ফোনের প্রকারভেদ

টেলিযোগাযোগ (telecommunication) ব্যবস্থা এবং তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মোবাইল ফোন নানা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেছে। বর্তমানে, মার্কেটে আপনি বেশ কয়েক ধরণের মুঠোফোনে দেখতে পাবেন; সেগুলো হল-

এই ধরণের ফোনগুলো বাজারে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। শুধুমাত্র ফোন দেওয়া-নেওয়া ছাড়াও এই যন্ত্রগুলো নানারকম কাজ করতে সক্ষম। এই স্বয়ংসম্পূর্ণ মুঠোফোন হল একটি ছোট গণকযন্ত্র।

এই উন্নতমানের ফোনগুলোতে থাকে ক্যামেরা, ক্যালকুলেটর, রেডিও, ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, Bluetooth মাধ্যম ও নানারকমের সুবিধা।

ইন্টারনেট মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারেন এই ফোনগুলোতে। বাধ্যতামূলকভাবে, এই মডেলগুলিতে একটি টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে থাকে।

এছাড়াও, আপনি এই ফোন আপনার অফিসার কাজ, যেমন- ডকুমেন্ট তৈরী কিংবা স্প্রেডশীটও তৈরীতে ব্যবহার করতে পারবেন।

খুব সাধারণ এই ফোনগুলোতে qwerty কীবোর্ড থাকা দেখা যায়। স্মার্টফোনের তুলনায় এই মডেলগুলো আকারে ছোট এবং এগুলোতে ডিসপ্লেও ছোট আকারের থাকে।

এই ফোনগুলোতে থাকে সাধারণ কিছু অপারেশন, যেমন- ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, ক্যামেরা, মেমরি কার্ড স্টোরেজ এবং অন্যান্য।

আপনি খুব সীমিত পরিমাণে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন এই ধরণের মুঠোফোনে। স্মার্টফোনের মতো মাল্টিটাস্কিং না করতে পারলেও, কিছু সাধারণ হিসাব-নিকাশ এই মোবাইলগুলোতে খুব সহজেই করা যায়।

প্রিপেইড ফোন

যারা নিজের ফোনে মাল্টিমিডিয়া বা মাল্টিটাস্কিং (একসাথে অনেকগুলো প্রোগ্রাম চালানো) পছন্দ করেন না, তারা প্রিপেইড ফোনগুলোকে বেশ উপযোগী মনে করেন।

এতে, আপনি শুধু সেলুলার ডাটা ব্যবহার করে ফোন করতে, ধরতে এবং এসএমএস পাঠাতে বা গ্রহণ করতে পারবেন।

এই ফোন আপনাকে কিছু পরিমান অর্থের বিনিময়ে সীমিত কলের সময় বা সীমিত মেসেজের পরিষেবা দিয়ে থাকে। আর যেখানে প্রিপেইড-এর অর্থই হল অগ্রিম পয়সার বিনিময়ে পরিষেবা প্রদান।

আনলকড ফোন (unlocked)

আনলকড ফোনগুলোর আসল সুবিধা হলো আপনার ফোন কোনো নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডারের অন্তর্ভত নয়। আপনি আপনার পছন্দমতো সার্ভিস প্রোভাইডারের থেকে কলিং এবং এসএমএস প্ল্যান ব্যবহার করতে পারেন।

তবে, বাজারে সহজলভ্য সেল ফোনগুলোর তুলনায় এই আনলকড মডেলগুলো অনেকটাই জটিল এবং দামী। এছাড়া, সঠিক ব্যবহারিক জ্ঞান না থাকলে এই ফোনগুলো ব্যবহার করাও বেশ কঠিন।

চলুন, এবার আলোচনা করা যাক, মোবাইলের কয়েকটা মুঠোফোনের বৈশিষ্ট্য নিয়ে।

মোবাইলের বৈশিষ্ট্য – Features of mobile in Bengali

১.  প্রতিটি দূরাভাষ যন্ত্র ব্যহারকারীদের সহজে ফোন করার বা ধরার সুবিধা প্রদান করে।

২.  যেকোনো মোবাইল ফোনে থাকে এক বা একাধিক সিম কার্ড ব্যবহারের ব্যবস্থা। এই সিমকার্ডগুলো আকারে অনেকটা পাতলা, চ্যাপ্টা এবং ছোট ডাক-টিকেটের মতো দেখতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, সিম কার্ড পোর্টগুলো ব্যাটারির নিচে থাকে। নেটওয়ার্ক পরিষেবাদাতাদের সিম কার্ডগুলো একে ওপরের থেকে আলাদা এবং প্রত্যেক কোম্পানির সিমের পরিষেবাও একে অন্যের থেকে আলাদা।সাধারণত, Global System for Mobile Communication (GSM) মডেলগুলোতে কেবল একটা সিম কার্ড রাখার ব্যবস্থা থাকে।

৩.  প্রতিটি মোবাইল চলে rechargeable ব্যাটারীর উপর। অর্থাৎ, ব্যাটারিগুলোকে বিদ্যুতের সাহায্যে চার্জ করলেই আপনি বারবার আপনার ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। দরকারে, ব্যাটারি বদলাতেও পারবেন।

৪.  এই প্রতিটি যন্ত্রের একটি করে ইউনিক বা একক International Mobile Equipment Identity (IMEI) নম্বর থাকে। এই নম্বরটির সাহায্যে খুব সহজেই ট্র্যাকার সিস্টেমগুলো আপনার হারিয়ে বা চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল খুঁজে দিতে পারে।

৫.  আপনাকে মোবাইল চালাতে হলে, কীবোর্ড বা টাচস্ক্রিনের মাধ্যমে ইনপুট দিতে হবে। ঠিক যেমনভাবে আপনি আপনার কম্পিউটারকে কীবোর্ড বা মাউসের সাহায্যে নিদের্শ দেন ঠিক সেভাবেই আপনাকে আপনার মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়।

৬.  প্রতিটি মোবাইল ফোনে আছে একক International Mobile Subscriber Identity (IMSI) নম্বর। এই নম্বরের সাহায্যে আপনার এবং আপনার মোবাইলের লোকেশন খুব সহজেই খুঁজে নেওয়া যায়।

মোবাইল ফোন কেন এতো জনপ্রিয় ?

এখন মানুষের ঘরে ঘরে ফোন বা স্মার্টফোনে রয়েছেই। তাই চোখ বুজে বলা যায়, যেকোনো যুগান্তকারী আবিষ্কারের থেকে মোবাইল আবিষ্কারে বেশি সুবিধা হয়েছে আপামর জনসাধারণের।

তবে, এই মুঠোফোনের জনপ্রিয়তা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর কারণ হিসেবে বেশ কতগুলো স্পষ্ট পয়েন্ট অবশই রয়েছে; সেগুলো হলো –

১.  মুঠোফোন আর্থিকভাবে যথেষ্ট সহজলভ্য এবং সব শ্রেণীর মানুষ তাদের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী কিনতে পারেন।

২.  মোবাইল ডিভাইস খুব সহজেই মানুষ নিজের সাথে করে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারে।

৩.  কম খরচে ইন্টারনেট পরিষেবা নিজের মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবহার করা সম্ভব।

৪.  পুরোনো ল্যান্ডলাইন ফোনের বিল দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে, আপনি খুব কম টাকার রিচার্জ করলেই পাচ্ছেন কল ও এসএমএস-এর সুবিধা।

৫.  স্মার্টফোনগুলোতে আপনি কোনোরকম টিভি বা রেডিও ছাড়াই খবর, প্রোগ্রাম উপভোগ করতে পারছেন।

৬.  বর্তমানের android ফোন থেকে খুব সহজেই আর সুরক্ষার সাথে যেকোনো জায়গাতে টাকা লেন-দেন করতে পারছেন সাধারণ মানুষ।

৭.  আপনি গান শুনতে চান? সিনেমা দেখতে চান? ওয়েব সিরিজ দেখতে চান? এইসবই আপনি পাবেন আপনার ওই স্মার্টফোনে।

৮.  কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা এপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি দ্রুত কোনো ছবি, ভিডিও আপনার লোকেদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

৯.  পুলিশের তদন্তের কাজেও এই নতুন মোবাইল ব্যবস্থা বেশ উপযোগী। দুষ্কৃতীদের লোকেশন বা কল রেকর্ড দেখে অনায়াসেই পুলিশরা তাদের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন।

আরও এই রকম বহু কারণের জন্যে আজকের যুগে মোবাইলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে।

মোবাইল ফোনের সুবিধা কি কি ?

শুধুমাত্র যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নতিসাধনের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনের জন্ম হলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই মুঠোফোনের ব্যবহারিক দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে বহুমুখী।

ইন্টারনেট পরিষেবার সাথে মোবাইল পরিষেবার মেলবন্ধনে স্মার্টফোনের চাহিদা দিন দিন আকাশছোঁয়া হয়ে পড়ছে।

মাল্টিমিডিয়ার উপস্থিতির ফলে মানুষ জীবনের প্রায় প্রত্যেকটি কাজে এই অত্যাধুনিক, প্রযুক্তি-নির্ভর মুঠোফোনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

অনেকগুলো মিডিয়ার সম্ভার হওয়াও মোবাইল ফোনের বেশ কতগুলো সুবিধা আছে –

১.  মাল্টিমিডিয়ার সমাবেশ হওয়ায় সামান্য যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ থেকে শুরু করে অফিসিয়াল ডকুমেন্ট তৈরী করা সবকিছুই করতে সক্ষম এই মুঠোফোন।

২.  গান শোনা, রেকর্ড করা, ভিডিও রেকর্ডিং থেকে এডিটিং, এমনকি কিছু কিছু স্মার্টফোনে আপনাকে ডিজানিং কিংবা পেইন্টিং করার সুবিধাও দিয়ে থাকে।

৩.  অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে আজকাল অনেক মানুষই মোবাইল ব্যাঙ্কিং-এর উপর নির্ভর করে থাকেন।

৪.  পাসপোর্ট থেকে শুরু করে বার্থ সার্টিফিকেট সমস্ত সরকারি নথিও আজকাল মোবাইল থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে ডাউনলোড, আপলোড বা কারেকশন করা যায়।

৫.  ঘুরতে গিয়ে আর হারিয়ে যেতে হবে না, কারণ বেশিভাগ মোবাইলেই থাকছে লোকেশন ট্র্যাকিং এবং আরও অন্যান্য সুবিধা।

৬.  এই করোনা মহামারীর সময়, স্মার্টফোনের চাহিদা দ্বিগুণ হওয়ার কারণ অনলাইন পড়াশোনা এবং অনলাইন অফিস। তাই আজকাল পড়াশোনা ও অফিস হয়ে উঠেছে মোবাইল নির্ভর।

৭.  আজকাল ট্রেন, প্লেন, বাসের টিকিট, স্কুল, কলেজের এডমিশনও হয়ে পড়ছে মোবাইল নির্ভর। ওলা বা উবেরে গাড়ি বুক করতে হলেও দরকার একটা স্মার্টফোনের।

৮.  অনেক ডাক্তাররাও আজকাল ভিডিও কলের মাধ্যমে দিচ্ছেন টেলি-কন্সাল্টেশন। অর্থাৎ, বাড়িতে বসেই একটা মোবাইলের মাধ্যমে আপনি আপনার মেডিকেল চেক-আপ করিয়ে নিতে পারছেন।

বিজ্ঞান যেমন আশীর্বাদ ও অভিশাপ দুই-ই বটে। তেমনই মুঠোফোনেরও আছে ভালো এবং মন্দ দিক।

দেখে নেওয়া যাক, কি কি আছে মোবাইলের অপকারিতা ?

মোবাইলের অপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক

১.  স্মার্টফোনের আসক্তি একটি নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই করোনা মহামারী এবং লকডাউনের সময়। অফিস থেকে শুরু করে বিনোদনের মাধ্যম সব কিছুরই মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই মোবাইল ফোন।

গবেষণাতে দেখ যাচ্ছে, একজন মানুষ প্রায় সারাদিনে ১০ ঘন্টার কাছাকাছি সময় এই মুঠোফোনে ব্যয় করছেন। যার ফলে, তার জীবনের অনেকটা সময় স্ক্রিনের সামনেই অতিবাহিত হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাঘাত ঘটছে।

২.  শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে মোবাইলের ব্যবহার এর বিষয়টা বিপদের সংকেত ডেকে আনছে। অনেক সময় ইন্টারনেট মাধ্যমে তারা অ্যাডাল্ট কনটেন্ট বা হিংসাত্মক বিষয়বস্তুর সম্মুখীন হচ্ছে, যা শিশুদের মধ্যে বিকৃত চিন্তাভাবনার জন্ম দিতে পারে।

এর ফলে, তাদের মনের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে।

৩.  অনলাইন মাধ্যম হওয়ার ফলে বেশ কিছু অসাধু লোকের অসাধু ব্যবসার রমরমা বাড়ছে। খুবই কুখ্যাত ব্যবসাগুলির মধ্যে একটি হল চাকুরীর স্ক্যাম। যেখানে কিছু ভুয়ো প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে ঠকিয়ে তাদের থেকে টাকা রোজগার করছে।

কিংবা, রয়েছে অনলাইন ATM কার্ডের স্ক্যাম, যেখান থেকে অনেক মানুষ কোটি কোটি টাকা হারিয়েছেন।

৪.  এছাড়াও আছে, সাধারণ মানুষের তথ্য নিরাপত্তায় (data security) দ্বন্দ্বের অবকাশ। ইন্টারনেট মাধ্যমে অনেক স্পাই এজেন্সী রয়েছে, যারা সাধারণ মানুষের তথ্য নিয়ে অনেক সময়ই অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করে থাকে। কিংবা আপনার অজান্তেই আপনি আপনার পরিচয় সেই অচেনা এজেন্সীগুলোকে দিয়ে থাকেন, যা একেবারেই কাম্য নয়।

৫.  বেশি সময় মোবাইল ব্যবহার করতে থাকায় মানুষের আবেগগুলো শিথিল হয়ে পড়ছে। মানুষ আগের মতো সামনাসামনি আড্ডা দেওয়া, গল্প করা, প্রায় ভুলতে বসছে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি থেকে মানুষ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে এবং সেখান থেকে তৈরী হচ্ছে হতাশা।

এই মোবাইল আসক্তি অনেক সময় জন্ম দেয় অনিদ্রার মতো রোগের। মানুষের ক্রিয়েটিভ কাজকর্ম যেমন- গান গাওয়া, আঁকা, নাচ করা এইসবের ইচ্ছেও নষ্ট হচ্ছে।

৬.  মোবাইল ডিভাইস থেকে যে তেজস্ক্রিয় রশ্মি (রেডিওএক্টিভ রেস) বেরোয়, তা থেকে দেখা দিতে পারে শরীরে ক্যান্সার। এছাড়াও, দেখা যেতে পারে চোখের, ঘাড়ের ও পিঠের সমস্যা।

আমাদের শেষ কথা,,

দ্রুত গতিশীল এই জীবনে, যেখানে ইন্টারনেট সারা বিশ্বকে ভুবন গ্রামে (global village) পরিণত করেছে, সেখানে মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকা হল এক বড় দুঃসাধ্য কাজ।

তাই আমাদের উচিত, রয়ে-সয়ে এই প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো ব্যবহার করা এবং খারাপ দিকগুলোকে বাদ দেওয়া, যাতে আমার সম্পূর্ণভাবে নিজেদের উন্নতিসাধন করতে পারি।

আশা করি,  মোবাইল ফোন রচনা (Mobile Phone Essay in Bengali) , নিয়ে লিখা আমাদের আজকের আর্টিকেল বা আলোচনাটি আপনাদের ভালো লেগেছে।

যদি আজকের  মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ রচনা  আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।

এবং আমরা অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতের।

  • 10 line essay on mobile in bengali
  • bangla rochona mobile phone
  • essay on mobile phone
  • history of mobile phone in bengali
  • mobile phone
  • mobile phone essay in bengali
  • mobile phone history in bengali
  • mobile phone invention paragraph in bengali
  • mobile phone rochona
  • mobile phone rochona in bengali
  • paragraph on mobile in bengali
  • অনুচ্ছেদ মোবাইল ফোন
  • অনুচ্ছেদ রচনা মোবাইল ফোন
  • মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ
  • মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ রচনা
  • মোবাইল ফোন রচনা

0 responses on "মোবাইল ফোন রচনা: Mobile Phone Essay in Bengali"

Leave a message cancel reply.

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Confirm Password *

By registering, you agree to the Terms of Service and Privacy Policy . *

Username or email *

Forgot Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Sorry, you do not have a permission to ask a question, You must login to ask question.

Bengali Forum Logo

Bengali Forum

বিভিন্ন বিষয়ের উপর বাংলা রচনা | bengali essay online.

mobile phone essay in bengali

  • 16 Questions
  • 418 Answers
  • 14 Best Answers
  • 2,117 Points

বাংলা রচনা:

1. বিজ্ঞান মনস্কতা | Scientific Attitude Essay

2. সমাজসেবা ও ছাত্রসমাজ রচনা | Essay on Social Work and Students

3. সমাজসেবা ও ছাত্রসমাজ রচনা | Essay on Social Work and Students

4. শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা | Role of Mass Media in Education Essay

5. ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় | Prakritik Biporjoy Essay in

6. জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ | Jatiya Sanhati Essay in Bengali or National Integration Essay

7. ক্রিকেট খেলা | Essay on Cricket in Bengali language

8. গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী | Library Essay in Bengali language

9. বাংলাদেশের নদ নদী | Bangladesher Nod Nodi Essay

10. আমার প্রিয় গ্রন্থ । আমার প্রিয় বই | amar priyo grontho essay in bengali

আরও রচনা দেখুন এখানে

You must login to add an answer.

Add Bengali Forum to your Homescreen!

mobile phone essay in bengali

mobile phone essay in bengali

45,000+ students realised their study abroad dream with us. Take the first step today

Meet top uk universities from the comfort of your home, here’s your new year gift, one app for all your, study abroad needs, start your journey, track your progress, grow with the community and so much more.

mobile phone essay in bengali

Verification Code

An OTP has been sent to your registered mobile no. Please verify

mobile phone essay in bengali

Thanks for your comment !

Our team will review it before it's shown to our readers.

Leverage Edu

  • School Education /

Essay on Mobile Phone: 100 Words, 300 Words, 500 Words

mobile phone essay in bengali

  • Updated on  
  • Feb 21, 2024

essay on my mobile phone

Mobile Phones are portable electronic devices used to make calls, browse the internet, click pictures, and do several other tasks. However, the mobile phones discovered in the early 1970s were quite different from the compact and slim devices we use today. Cell phones were invented by John F. Mitchell and Martin Cooper of Motorola in 1973.

As modern humans, we all use mobile phones for our day-to-day functioning. At academic and higher education levels, students are given the task of writing an essay on mobile phones. An essay on mobile phones requires a comprehensive and detailed study of their history, major developments and the purposes it serve. In this article, we have provided essays on mobile phones for class 6,7,8.9, 10, and 12th standard students. Students can refer to these sample essays on mobile phones to write their own. Keep reading to find out essays on mobile phones and some fun facts about the device.

Table of Contents

  • 1 Sample Essay on Mobile Phone (100 Words)
  • 2 Sample Essay on Mobile Phone (300 words)
  • 3 Sample Essay on Mobile Phone (500 words)
  • 4 Essay on Mobile Phone: 5+ Facts About Smartphones

Sample Essay on Mobile Phone (100 Words)

Also Read: The Beginner’s Guide to Writing an Essay

Sample Essay on Mobile Phone (300 words)

Also Read: Essay on Importance of the Internet

Sample Essay on Mobile Phone (500 words)

Essay on mobile phone: 5+ facts about smartphones.

Here we have listed some of the interesting facts about smartphones. These facts can be added to the ‘essay on mobile phones’ to make it more interesting. Below are the 5 interesting facts about smartphones:

  • The most expensive smartphone in the world is the Falcon Supernova iPhone 6 Pink Diamond. It is worth  $48.5 million.
  • The cheapest mobile phone in the world is the Freedom 251. It just cost INR 251.
  • Apple is the world’s most popular smartphone
  • The first phone greeting was “Ahoy-hoy, who’s calling please?” 
  • The first smartphone was invented by IBM. It was released by IBM in 1994. The original screen name of the 1st smartphone was “Simon.” 
  • The first text message in the world was ‘Merry Christmas’

Also Read: Holi Essay: Free Sample Essays 100 To 500 Words In English

A mobile phone system gets its name from diving the service into small cells. Each of these cells has a base station with a useful range in the order of a kilometre/mile.

Mobile phones have become extremely important due to the ease of communication it has brought about. Moreover, it can perform several major tasks easily and effectively. For example, a calculator. Aside from this mobile phones can help a user connect to the internet, and use social media applications, and other applications. Mobile phones can even assist in online payment. 

The full form or the meaning of a Moble is Modified, Operation, Byte, Integration, Limited, Energy”. John F. Mitchell and Martin Cooper of Motorola discovered the device in 1973. An essay on mobile phones can include the mobile phone full form.

Related Articles

Mobile phones have become an indispensable part of our lifestyle. There are several advantages and disadvantages of having a smartphone. However, the pros outweigh the cons. A mobile phone essay can be written by including both the advantages and disadvantages. To discover more articles like this one, consult the study abroad expert at Leverage Edu.

' src=

Blessy George

Blessy George is a Content Marketing Associate at Leverage Edu, boasting over a year of experience in the industry. Her expertise lies in crafting compelling content tailored to online courses, making her a go-to source for those navigating the vast landscape of digital learning. In addition to online classes, she writes content related to study abroad, English test preparation and visas. She has completed her MA degree in Political Science and has gained valuable experience as an intern.She is known for her extensive writing on various aspects of international education, garnering recognition for her insights and contributions. Apart from her professional pursuits, Blessy is passionate about creative writing, particularly poetry and songwriting.

Leave a Reply Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Contact no. *

mobile phone essay in bengali

Connect With Us

mobile phone essay in bengali

45,000+ students realised their study abroad dream with us. Take the first step today.

mobile phone essay in bengali

Resend OTP in

mobile phone essay in bengali

Need help with?

Study abroad.

UK, Canada, US & More

IELTS, GRE, GMAT & More

Scholarship, Loans & Forex

Country Preference

New Zealand

Which English test are you planning to take?

Which academic test are you planning to take.

Not Sure yet

When are you planning to take the exam?

Already booked my exam slot

Within 2 Months

Want to learn about the test

Which Degree do you wish to pursue?

When do you want to start studying abroad.

January 2024

September 2024

What is your budget to study abroad?

mobile phone essay in bengali

How would you describe this article ?

Please rate this article

We would like to hear more.

Have something on your mind?

mobile phone essay in bengali

Make your study abroad dream a reality in January 2022 with

mobile phone essay in bengali

India's Biggest Virtual University Fair

mobile phone essay in bengali

Essex Direct Admission Day

Why attend .

mobile phone essay in bengali

Don't Miss Out

Uses of Mobile Phones Essay for Students and Children

500+ words essay on uses of mobile phones.

Mobile phones are one of the most commonly used gadgets in today’s world. Everyone from a child to an adult uses mobile phones these days. They are indeed very useful and help us in so many ways.

Uses of Mobile Phones Essay

Mobile phones indeed make our lives easy and convenient but at what cost? They are a blessing only till we use it correctly. As when we use them for more than a fixed time, they become harmful for us.

Uses of Mobile Phone

We use mobile phones for almost everything now. Gone are the days when we used them for only calling. Now, our lives revolve around it. They come in use for communicating through voice, messages, and mails. We can also surf the internet using a phone. Most importantly, we also click photos and record videos through our mobile’s camera.

The phones of this age are known as smartphones . They are no less than a computer and sometimes even more. You can video call people using this phone, and also manage your official documents. You get the chance to use social media and play music through it.

Moreover, we see how mobile phones have replaced computers and laptops . We carry out all the tasks through mobile phones which we initially did use our computers. We can even make powerpoint presentations on our phones and use it as a calculator to ease our work.

Get the huge list of more than 500 Essay Topics and Ideas

Disadvantages of Mobile Phones

While mobile phones are very beneficial, they also come to a lot of disadvantages. Firstly, they create a distance between people. As people spend time on their phones, they don’t talk to each other much. People will sit in the same room and be busy on their phones instead of talking to each other.

Subsequently, phones waste a lot of time. People get distracted by them easily and spend hours on their phones. They are becoming dumber while using smartphones . They do not do their work and focus on using phones.

Most importantly, mobile phones are a cause of many ailments. When we use phones for a long time, our eyesight gets weaker. They cause strain on our brains. We also suffer from headaches, watery eyes, sleeplessness and more.

Moreover, mobile phones have created a lack of privacy in people’s lives. As all your information is stored on your phone and social media , anyone can access it easily. We become vulnerable to hackers. Also, mobile phones consume a lot of money. They are anyway expensive and to top it, we buy expensive gadgets to enhance our user experience.

In short, we see how it is both a bane and a boon. It depends on us how we can use it to our advantage. We must limit our usage of mobile phones and not let it control us. As mobile phones are taking over our lives, we must know when to draw the line. After all, we are the owners and not the smartphone.

FAQs on Uses of Mobile Phones

Q.1 How do mobile phones help us?

A.1 Mobile phones are very advantageous. They help us in making our lives easy and convenient. They help us communicate with our loved ones and carry out our work efficiently. Furthermore, they also do the work of the computer, calculator, and cameras.

Q.2 What is the abuse of mobile phone use?

A.2 People are nowadays not using but abusing mobile phones. They are using them endlessly which is ruining their lives. They are the cause of many ailments. They distract us and keep us away from important work. Moreover, they also compromise with our privacy making us vulnerable to hackers.

Customize your course in 30 seconds

Which class are you in.

tutor

  • Travelling Essay
  • Picnic Essay
  • Our Country Essay
  • My Parents Essay
  • Essay on Favourite Personality
  • Essay on Memorable Day of My Life
  • Essay on Knowledge is Power
  • Essay on Gurpurab
  • Essay on My Favourite Season
  • Essay on Types of Sports

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Download the App

Google Play

IMAGES

  1. মোবাইল ফোন রচনা: Mobile Phone Essay in Bengali

    mobile phone essay in bengali

  2. মোবাইল ফোন রচনা

    mobile phone essay in bengali

  3. Bengali Essay writing Mobile Phone/বাংলা অনুচ্ছেদ রচনা মোবাইল ফোন/বাংলা

    mobile phone essay in bengali

  4. মোবাইল ফোন রচনা [Mobile Phone Essay in Bengali] [PDF]

    mobile phone essay in bengali

  5. Translation of Bengali Terms in Mobile Phones: a Simplified ...

    mobile phone essay in bengali

  6. How to write bangla on Iphone or Ipad

    mobile phone essay in bengali

VIDEO

  1. Mobile Phone Essay/Essay writing/professor TANVEER/part 1

  2. | USES AND ABUSES OF MOBILE PHONE

  3. Speech On Mobile Culture in English

  4. Write an Essay On Mobile Phone in English I Mobile Phone Essay I Paragraph on Mobile Phone

  5. Mobile phone essay in english, #english #essay #learnonline

  6. Mango essay 10 line in bangla l ভারতের জাতীয় ফল আম বাংলা রচনা

COMMENTS

  1. মোবাইল ফোন রচনা [Mobile Phone Essay in Bengali] [PDF]

    মোবাইল ফোন রচনা [Mobile Phone Essay in Bengali] [PDF] জানুয়ারি 10, 2020 দ্বারা রাকেশ রাউত. প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলির মধ্যে মোবাইল ...

  2. মোবাইল ফোন রচনা । Mobile Phone Essay । প্রতিবেদন রচনা

    মোবাইল ফোন রচনা । Mobile Phone Essay । প্রতিবেদন রচনা. December 29, 2020. মোবাইল ফোন রচনাঃ তিদিন দীর্ঘ সময় ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলির মধ্যে মোবাইল ...

  3. মোবাইল ফোন রচনা: Mobile Phone Essay in Bengali

    Last updated on May 9th, 2024 at 03:51 pm. মোবাইল ফোন রচনা (Mobile Phone Essay in Bengali), নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি রয়েছে। আশা করছি আমাদের আজকের এই মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ রচনা আপনাদের ...

  4. পঞ্চম শ্রেণি

    মোবাইল ফোন - ভূমিকা :আজকের দিনে মোবাইল ফোন খুব প্রয়োজনীয় ...

  5. মোবাইল ফোন রচনা

    বাংলাদেশে গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি, টেলিটক ও এয়ারটেল এই পাঁচটি মোবাইল ফোন কোম্পানির নেটোওয়ার্ক রয়েছে। এসব কোম্পানি নিরলসভাবে সেবা ...

  6. মোবাইল ফোন রচনা

    Mobile Phone Essay in Bengaliমোবাইল ফ... মোবাইল ফোন বাংলা প্রবন্ধ রচনা। Mobile Phone Bangla Essayমোবাইল ফোন ...

  7. বাংলায় মোবাইল ফোন রচনা

    মোবাইল ফোন আজকের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে ...

  8. মোবাইল ফোন রচনা

    মোবাইল ফোন রচনা - (Mobile Phone Essay In Bengali), নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে। আপনি যদি মোবাইল ফোন‌ সম্পর্কে একটি সুন্দর রচনা খুঁজছেন, তাহলে নিচে একটি ...

  9. Paragraph on Uses and Abuses of Mobile Phone

    The blood pressure becomes high and red blood cells get damaged if a person is continuously exposed to radiation caused by cellular phone. Using cellular phone is also harmful for the pregnant women. So, the government should raise awareness publicly on using mobile phone by children and pregnant women. If mobile phone is used in a controlled ...

  10. মোবাইল এবং তার বিভিন্ন দিক

    All Bangla Paragraph (105) Bangla GK (177) Bangla Kobita (203) Bangla Rachana (105) Bengali Meaning (259) Bengali Poems (124) English to Bengali Meaning (270) English to Bengali Translation (256) Kobita (143) অনুচ্ছেদ (127) বাংলা অর্থ (275) বাংলা কবিতা (219) বাংলা বাক্য ...

  11. Bengali Essay writing Mobile Phone/বাংলা ...

    Bengali Essay writing Mobile Phone/বাংলা অনুচ্ছেদ রচনা মোবাইল ফোন/বাংলা রচনা মোবাইল ফোন#sourabhclassroom # ...

  12. ইন্টারনেট রচনা [Internet Essay in Bengali with PDF]

    মোবাইল ফোন রচনা [Mobile Phone Essay in Bengali] [PDF] মানব কল্যাণে বিজ্ঞান প্রবন্ধ রচনা [সঙ্গে PDF] দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা | Doinondin Jibone Biggan Rochona [PDF]

  13. Bengali Rachana

    Bengali Essay 2023. Bengali Rachana or Bengali essay or বাংলা রচনা is a significant part of Bengali language at school levels and in higher level studies. We all know the fact that essay writing is an important part for enhancing the writing skill in any language, so, writing Bengali essays is equally important to grow the ...

  14. মোবাইল ফোন রচনা: Mobile Phone Essay in Bengali

    মোবাইল ফোন রচনা (Mobile Phone Essay in Bengali), নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি রয়েছে। আশা করছি আমাদের আজকের এই মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ রচনা আপনাদের পছন্দ হবে। আজকের ...

  15. মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ রচনা। Mobile phone bengali paragraph essay

    মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ রচনা। Mobile phone bengali paragraph essay ।@joydip34.

  16. মোবাইল ফোন

    মোবাইল ফোন এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে বেতার তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। "মোবাইল ফোন" শব্দদ্বয় দ্বারা একই সঙ্গে মোবাইল ফোন বা ...

  17. বিভিন্ন বিষয়ের উপর বাংলা রচনা

    All Bangla Paragraph (105) Bangla GK (177) Bangla Kobita (203) Bangla Rachana (105) Bengali Meaning (259) Bengali Poems (124) English to Bengali Meaning (270) English to Bengali Translation (256) Kobita (143) অনুচ্ছেদ (127) বাংলা অর্থ (275) বাংলা কবিতা (219) বাংলা বাক্য ...

  18. Essay on Mobile Phone: 100 Words, 300 Words, 500 Words

    Sample Essay on Mobile Phone (500 words) Mobile Phone is a portable telephone that performs a variety of functions for its users. The smartphone can be used to text, call, watch movies, listen to music, and even use social media applications. This cellular device has its own advantages and disadvantages.

  19. Mobile Phone Paragraph

    Mobile Phone Paragraph | Paragraph "Mobile Phone" বাংলা অর্থসহ | Mobile Phone Essay | Mobile Phone | Uses and Abuses of mobile phone | Mobile Phone paragraph...

  20. রচনা সমগ্র

    Welcome to Final App. This is our today's app made with Bangla Essay Collection. This app contains collection of 200+ Bengali Essays. Those essays are in this app-- Sea victory of Bangladesh - Literature of Bangladesh - Natural disasters in Bangladesh and their remedies - Unemployment problem in Bangladesh and its solution - Folklore of Bangladesh

  21. Essay on Mobile Phone for Students and Children

    500+ Words Essay on Mobile Phone. Essay on Mobile Phone: Mobile Phone is often also called "cellular phone". It is a device mainly used for a voice call. Presently technological advancements have made our life easy. Today, with the help of a mobile phone we can easily talk or video chat with anyone across the globe by just moving our fingers.

  22. বাংলা রচনা মোবাইল ফোন

    About Press Copyright Contact us Creators Advertise Developers Terms Privacy Policy & Safety How YouTube works Test new features NFL Sunday Ticket Press Copyright ...

  23. Uses of Mobile Phones Essay for Students

    A.1 Mobile phones are very advantageous. They help us in making our lives easy and convenient. They help us communicate with our loved ones and carry out our work efficiently. Furthermore, they also do the work of the computer, calculator, and cameras.